ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের বলি ২৬৮, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদির

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ২৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও কেউ বেঁচে রয়েছেন কি না তা তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এদিন টুইট করে এই বিপর্যয়ের সময়ে ইন্দোনেশিয়ার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিতে আমি মর্মাহত। নিহত ও তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই শোকের সময়ে ইন্দোনেশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।’

সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে ১৫-তে হওয়া ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৬। কম্পনের উৎস ছিল রাজধানী জাকার্তা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম জাভার সিয়ানজুরে। ভূমিকম্পের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, সিয়ানজুর শহর রাতারাতি পরিণত হয়েছে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আরও একটি কারণ শহরের হাসপাতালগুলিও ধ্বংস। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতেও কালঘাম ছুটছে প্রশাসনের।

সোমবার জানা গিয়েছিল মৃতের সংখ্যা ১৬২। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরের পর জানানো হয় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬৮। এখনও ১৫১ জনের কোনও খোঁজ নেই। ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার জন। সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফ থেকে এক আধিকারিক বলেন, ‘এখনও আমাদের মূল লক্ষ্য ধ্বংসস্তূপ থেকে কাউকে যদি জীবন্ত উদ্ধার করা যায় তা দেখা। এই কাজ শেষ হলে আশা করছি মৃতের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারব।’

সিয়ানজুর শহরে জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার পর্যদের প্রধান হেনরি আলফিয়ান্দি বলেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান ছড়িয়ে দেওয়াটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রামীণ এলাকাগুলির রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৩,০০০-এরও বেশি লোক গৃহহারা। অধিকাংশ হতাহতরা শিশু। ভূমিকম্পটি ঘটে বেলা ১টা নাগাদ, তারা তখনও স্কুলে ছিল।’ ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ জানিয়েছে, ২,২০০টিরও বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − four =