অবিনাশ সাবলে যেন সোনার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেজে সোনা জেতার আধঘণ্টার মধ্য়ে এশিয়ান গেমসের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে দ্বিতীয় সোনা। গতবার শটপাটে যা করেছিলেন, এ বারও তাই করে দেখালেন তেজিন্দর পাল সিং টুর। জাকার্তা এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিলেন ২০.৭৫ মিটার থ্রো করে। নতুন গেমস রেকর্ডও ছিল তাঁর। পঞ্জাবের ২৮ বছরের ছেলে এনেছিলেন সোনাও। এ বারও সোনা নিজের গলাতেই রাখলেন তেজিন্দর। ফর্মে ছিলেন যে, বলা যাবে না। কিন্তু চাপের মুহূর্তে নিজেকে ছাপিয়েও গিয়েছিলেন পঞ্জাবের ছেলে। শেষ পর্যন্ত সোনাও জিতলেন। প্রথম দুটো থ্রো বাতিল হয়ে যায় ভারতের বাঁ হাতি শটপাটারের। কিন্তু তৃতীয় থ্রোতে ১৯.২১ মিটার ছুড়েছিলেন। পরের থ্রোটাতেও তেজিন্দর আবার ২০ মিটারের বাধা পার করে ২০.০৬ মিটার থ্রো করেন। কিন্তু সেই থ্রোও যথেষ্ট ছিল না। সৌদি আরবের মহমেদ দাউদা টোলো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন ২০.১৮ মিটার থ্রো করে। সোনা জিততে হাতে দুটো থ্রো ছিল তেজিন্দরের। চাপের মুখে পঞ্চম থ্রো আবার বাতিল হয়ে যায় তেজিন্দরের। তাতেও অবশ্য ঘাবড়াননি সোনার ছেলে। ২০.৩৬ মিটার থ্রো থেকে সোনা জেতেন তেজিন্দর। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন ছেলেবেলায়। কিন্তু তাঁর বাবার পরামর্শে শটপাটে এসেছিলেন তেজিন্দর। ছেলের প্রতিভা চিনতে যে ভুল করেননি, তাই প্রমাণ করে দিয়েছিলেন জাকার্তায় সোনা জিতে। কেরিয়ার জুড়ে এশিয়ান সার্কিটে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছেন তেজিন্দর। দু’বার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পেয়েছেন সোনা। এশিয়ান ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপেও চলতি বছর জিতেছেন সোনা। এই বছরেই ২১.৭৭ মিটার থ্রো করে শটপাটে নতুন জাতীয় রেকর্ড বানিয়েছিলেন তেজিন্দর। তেজিন্দর ভারতের হয়ে ১৩তম সোনা জিতলেন। ১৬টা রুপো ও ১৬টা ব্রোঞ্জ সহ মোট ৪৫টা পদক জিতল ভারত। গতবার এশিয়ান গেমসে ৭০টা পদক জিতেছিল ভারত। এ বার সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার দেখাচ্ছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা।