বৃষ্টি-বিপর্যয়, মন্দ আলোয় দিন শেষে ভারতের প্রাপ্তি ‘অজানা’

সিরিজের শুরুটা যেমন হয়েছিল তাতে উৎসবের মেজাজ ছিল ভারতীয় শিবিরে। পারথের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট থেকে দুর্দান্ত কামব্যাক এবং ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়। কিন্তু অ্যাডিলেড থেকে চরম হতাশার শুরু। যা বজায় রয়েছে ব্রিসবেনেও। এখন আবহাওয়াই যেন ভরসা ভারতীয় শিবিরে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের রাস্তাও ধোঁয়াশায়। এই সিরিজ অন্তত ৪-১ ব্যবধানে জিতলে কোনও অঙ্ক থাকত না। ৩-১ জিতলেও ফাইনাল হতে পারে। সিরিজ হারলে কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্য ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও জটিল অঙ্ক। ম্যাচের তৃতীয় দিন কী পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত?

দিনের শুরুতে ভারতের টার্গেট ছিল অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত অলআউট করা। শুরুটা করেন জসপ্রীত বুমরা। এরপর সিরাজ ও আকাশ দীপের উইকেটে ৪৪৫ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় ইনিংস শুরুর আগে ফের বৃষ্টি এবং শুরুর পর ব্যাটিং বিপর্যয়। ১৩ বলের মধ্যেই যশস্বী, শুভমন আউট। কোহলির ইনিংসও বিরাট হয়নি। বারবার বৃষ্টির কারণে খেলা থামাতে হয়েছে। প্রতিবারই বিরতি থেকে ফিরলেই যেন নতুন ধাক্কার আশঙ্কা। হলও তাই। একটা বৃষ্টি বিরতির পরই আউট ঋষভ পন্থও। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রোহিত শর্মা। বৃষ্টিতে আবারও থামে খেলা।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর খেলা শুরু হলেও লাভ হয়নি। মাত্র ১৭টি ডেলিভারি হয়েছে। মন্দ আলোর কারণে আম্পায়াররা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, পেসারদের দিয়ে বোলিং করানো যাবে না। নাথান লিয়ঁর সঙ্গে উল্টোপ্রান্তে বোলিংয়ে আসেন পার্টটাইম স্পিনার ট্রাভিস হেড। আলো অবশ্য উন্নতি হয়নি। দিনের খেলার তখনও অন্তত ১১ ওভার বাকি। সে সময়ই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। ১৭ বলের লাস্ট ‘সেশনে’ ভারত কোনও উইকেট হারায়নি।

অস্ট্রেলিয়ার ৪৪৫ রানের জবাবে ভারতের স্কোর ৫১-৪। চতুর্থ দিনও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই ম্যাচে ফলের সুযোগ কম। আর ফল হলে ভারতের পক্ষে যাবে না, এটা যেন এখনই বলে দেওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =