এশিয়ান গেমসে যেন সোনাঝরা সকালের জন্ম দিয়েছেন ভারতীয় শুটাররা। ছেলেদের ৫০ মিটার থ্রি-পজিশন প্রোনের টিম ইভেন্ট থেকে এসেছে সোনা। স্বপ্নিল, ঐশ্বর্য, অখিলদের সোনার ঘোর কাটতে না কাটতে আবার সোনা ভারতের ঝুলিতে। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের টিম ইভেন্ট থেকে এসেছিল রুপো। তাই এ বার বদলে গেল সোনায়। চমকে দিয়ে সোনা জিতলেন পলক গুলিয়া। এতেই শেষ নয়। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল থেকে রুপো জিতলেন ভারতের এষা সিং। মেয়েদের এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পাকিস্তানের কিসমালা তলতের। এ বারের এশিয়ান গেমসে রেকর্ড করে ফেলল শুটিং। সবচেয়ে বেশি পদক জিতে ফেললেন ভারতীয় শুটাররা। ৬টা সোনা, ৬টা রুপো, ৫টা ব্রোঞ্জ। মোট ১৭টা পদক। এর আগে ২০০৬ সালের এশিয়াডে সবচেয়ে বেশি পদক এসেছিল শুটিং থেকে। ৩টে সোনা, ৫টা রুপো, ৬টা ব্রোঞ্জ সহ মোট ১৪টা পদক ছিল ঝুলিতে। সব রেকর্ড ভেঙেচুরে দিচ্ছেন কী ভারতীয় শুটাররা? দুরন্ত ফর্ম আর আত্মবিশ্বাসের জন্য। মেয়েদের ব্যক্তিগত ১০ মিটার এযার পিস্তল ইভেন্টে টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী ব়্যান্সিং জিয়াং ছিলেন। কিন্তু তাঁকে পর্যন্ত ছিটকে দিলেন পলক আর এষা। ঠান্ডা মাথা, প্রতি শটের জন্য আলাদা করে ভাবনাই সাফল্যের কারণ। ব্যক্তিগত ইভেন্টে মোট ২৪টা শট নিতে হয়। ১০টা শটের পর শুরু হয়ে যায় এলিমিনেশন রাউন্ড। পলক আর এষাকে নড়ানো যায়নি। ফাইনালে পলক একবারের জন্য এক নম্বর জায়গাটা ছাড়েননি। ১৭ বছরের ফরিদাবাদের মেয়ে গেমস রেকর্ড করে জিতলেন সোনা। ২৪২.১ পয়েন্ট স্কোর করেছেন তিনি। আর হায়দরাবাদের এষা এই রুপোর সঙ্গে জিতে ফেললেন এ বারের এশিয়ান গেমসে মোট চারটে পদক। গগন নারাংয়ের ছাত্রীর মূলত লড়াই ছিল পাকিস্তানের তলতের সঙ্গে। ১০ শটের পর তলত ছাপিয়ে গিয়েছিলেন এষাকে। কিন্তু তিনি ঘাবড়ে যাননি এষা। টার্গেটে নজর রেখেছেন। প্রতিটা শটে নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। শেষ চারটে শট ১০, ১০.১, ১০.২, ১০.৫। বোঝাই যাচ্ছে পাকিস্তানের তলতকে হারাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন এষা। হলও তাই।