সোনার পদক। এরই লক্ষ্যে গিয়েছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। লক্ষ্য পূরণও করেছে। প্রথম বার এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছে ভারত। মেয়েদের ক্রিকেটে সোনার সাফল্য। এ বার পুরুষ দলের নামার অপেক্ষা। প্রত্যাশা, সোনার। বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। ইভেন্টে অনবদ্য পারফরম্যান্স। ফাইনালেও জায়গা করে নেয়। মেয়েদের ক্রিকেটে বরাবর ভারতের শক্ত গাঁট অস্ট্রেলিয়া। কমনওয়েলথ গেমস ফাইনালেও অজিদের কাছে হেরে রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ফাইনালে চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের রকস্টার জেমাইমা রডরিগজ। এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের পর তাঁর প্রত্যাশা, ক্রিকেটে আরও একটা সোনা আসুক। এশিয়ান গেমস মেয়েদের ক্রিকেটের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১৯ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে ১১৬ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটারদের জন্য কঠিন পিচ। সেখানে ১১৬ উইনিং রান। অন্তত ভারতীয় বোলিং শক্তির ওপর এ বিষয়ে ভরসা রাখাই যায়। মেঘলা আবহাওয়ায় শ্রীলঙ্কা টপ অর্ডারে ধস নামান তিতাস সাধু। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৯৭-৮ স্কোরেই থামে শ্রীলঙ্কা। অভিষেকেই সোনা। পুরুষদের ক্রিকেটে কি এর পুনরাবৃত্তি হবে? সোনার ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটিংকে ভরসা দেওয়া জেমাইমা বলছেন, ‘আমাদের মেন্স টিমের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের বলেছি, আমরা সোনা নিয়ে ফিরছি, তোমরাও সোনার পদক এনো। দুর্দান্ত অনুভূতি হচ্ছে। সোনার পদক জয় সবসময়ই বড় ব্যাপার। ক্রিকেটে প্রথম বার সোনা জয়। আমরা ইতিহাস গড়লাম। একটা সময় সকলেই বলবে, এই টিমটাই এশিয়াডে প্রথম সোনা জিতেছিল।’ এশিয়াডে মেডাল ট্যালিতে যোগ হয়েছে ক্রিকেটের সোনা। এই মুহূর্তটা আজীবন মনে থাকবে, এমনটাই বলছেন উচ্ছ্বসিত জেমাইমা। ফাইনালটা সহজ ছিল না। শ্রীলঙ্কা যথেষ্ঠ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। তবে ভারতীয় বোলিং-ফিল্ডিং সোনার মুহূর্ত তৈরি করেছে।