আট মাস পর গম্ভীর অধ্যায়ে প্রথম হার ভারতের

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরে গেল ভারত। দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ৩২ রানে হার গৌতম গম্ভীরের দলের। শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এক ম্যাচে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলিধরনের। ৩০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। সেই রেকর্ড আশঙ্কায় ছিল। সৌজন্যে ৮ মাস পর ওয়ান ডে ক্রিকেটে ফেরা এক বোলার। শ্রীলঙ্কা এমনিতেই ব্যাকফুটে ছিল। তাদের প্রথম সারির পাঁচ পেসার চোটের কারণে ওয়ান ডে সিরিজ শুরুর আগেই ছিটকে যান। প্রথম ওয়ান ডে-তে চোট পেয়ে ছিটকে যান দলের প্রধান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গাও। পাওয়া যায়নি মহেশ থিকসানাকেও। এক পেসার কমিয়ে এবং হাসারঙ্গার পরিবর্তে কামিন্দু মেন্ডিস ও জেফরি ভ্যানডারসেকে একাদশে আনেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। সেটাই মাস্টারস্ট্রোক হয়ে দাঁড়ায়।

এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার জার্সিতে শেষ ওডিআই খেলেছিলেন জেফরি ভ্যানডারসে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এই মাঠেই ছিল সেই ম্যাচ। প্রত্যাবর্তনও হল এই মাঠেই। আর দুর্দান্ত শুরু। ৭ ওভারের স্পেলেই ৬ উইকেট! এই ম্যাচেও হয়তো খেলা হত না তাঁর। ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা চোট পাওয়ায় দরজা খোলে এই লেগ স্পিনার ভ্যানডারসের। সুযোগটা দুর্দান্ত ভাবে কাজে লাগালেন। বোর্ডে ২৪১ রানের টার্গেট ছিল ভারতের। রোহিত শর্মা আউট হতেই ভারতীয় ইনিংসে আতঙ্কের শুরু। প্রথম ম্যাচ টাই হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার করা ২৩০ রান তুলতে নেমে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিরাটেরা। রবিবার ২৪০ রান করে শ্রীলঙ্কা। সেই রান তুলতেই পারল না ভারত। ২০৮ রানে শেষ হয়ে গেল রোহিতদের ইনিংস।

হারের দায় নিতে হবে ভারতীয় বোলারদেরও। ১৩৬ রানে ৬ উইকেট চলে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার। সেখান থেকে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। শেষ ১৫ ওভারে ওঠে ১০৪ রান। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। রোহিত শর্মা ৬৪ রান করেন। শুভমন গিল করেন ৩৫ রান। ৯৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিরাট (১৪) ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন।

ভারতের কাজটা কঠিন করে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ভ্যান্ডারসে। ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গের জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ৩৪ বছরের স্পিনার দলে সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগালেন। ১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিলেন ৬ উইকেট।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =