সাকিব মাহমুদের বলটা তুলে মারতে গিয়ে রোহিত ফিরে গেলেন। ২৪৮ রান তাড়া করে জেতা কঠিন নয় একেবারেই। আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল মাত্র ১৫ রানে আউট হন। দুই ওপেনার দ্রুত ফিরে গেলেও ভারতের জিততে সমস্যা হয়নি। কেবল শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে একটা অস্বস্তির বাতাবরণ তৈরি করেছিল।
প্রথমে শ্রেয়স আইয়ার। পরে শুভমান গিল ও অক্ষর প্যাটেলের দৌরাত্ম্যে ভারত খুব সহজেই ম্যাচ জিতে নেয়। শুভমান গিলের কথা বিশেষ করে বলতেই হয়। এই সিরিজে তিনি ভাইস ক্যাপ্টেন। তাঁর কাছে প্রত্যাশা অনেক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে সবাই। তাঁর রানে ফেরাটা জরুরি। প্রথম ওয়ানডেতে হতাশ করেননি গিল। ১৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ভারতের উপরে চাপ তৈরি হয়েছিল তখন গিল ও শ্রেয়স মিলে সেই চাপটা সরান। শ্রেয়স আইয়ার (৫৯) ফেরার পরে অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে করে গিল ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যান জয়ের দোরগোড়ায়। অক্ষর প্যাটেল অবশ্য শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি। ৫২ রানে আদিল রাশিদের বলে বোল্ড হন আদিল রাশিদ। লোকেশ রাহুলও (২) ব্যর্থ হন। শুভমান গিল দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে গিয়ে ৮৭ রানে ফেরেন।
বাকি কাজটা সারেন রবীন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষের দিকে এসে এভাবে উইকেট হারানো নিয়ে বসতে হবে গৌতম গম্ভীরকে। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। অভিষেক ওয়ানডেতে হর্ষিত রানা তিন-তিনটি উইকেট নেন। ইংল্যান্ড ব্যাটাররা শুরুর দিকে তাঁর প্রতি নির্দয় হলেও পরে দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটে রানার। ইংল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যে জস বাটলার (৫২) ও জ্যাকব বেথেল (৫১) উল্লেখযোগ্য রান করেন। ফিল সল্ট হর্ষিতের এক ওভারে ২৬ রান নেন। যতটা আগ্রাসী দেখিয়েছিল, শেষের দিকে ভারতীয় বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৮ রানে। রান তাড়া করতে নেমে ভারত খুব সহজেই ম্যাচ জিতে নেয়।

