পতন যেন থামানোই যাচ্ছে না। গত নভেম্বরেও ১০০ মধ্যে ছিল যে টিম, তারাই এখন নামতে নামতে তলানিতে। পরিস্থিতি এমন যে, ভারতীয় ফুটবল উন্নতির পথই দেখতে পাচ্ছে না। বুধবারই ফিফা এই মাসের ব়্যাঙ্কিং তালিকা ঘোষণা করেছে। তাতে ১২১এ নেমে গিয়েছে সুনীল ছেত্রীর ভারতীয় টিম। মাসখানেক আগেও ১১৭ ছিল ভারতের বিশ্ব ব়্যাঙ্কিং। আফগানিস্তানের কাছে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচে ১-২ হারের কারণে আরও চার ধাপ পতন হল ভারতের। ৬ জুন যুবভারতীতে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্বের ম্যাচে। ওই ম্যাচে হারলে ভারতের ব়্যাঙ্কিং আরও তলানিতে যেতে পারে, এই আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।
ভারতীয় টিমের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচের মাস মাইনে ৩০ লক্ষ টাকা। বিপুল অর্থ প্রতি মাসে বেতন হিসেবে পেলেও ভারতের পারফরম্যান্স কেন ভালো নয়, তা নিয়ে কথা উঠে গিয়েছে। স্পোর্টস অথারিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাই দেশের বিভিন্ন খেলার পারফরম্যান্স নিয়মিত খতিয়ে দেখে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ও ইগর স্টিমাচকে তারা ভারতীয় টিমে পারফরম্যান্স খারাপ কেন, তা দর্শাতে বলেছে। ৬ জুন যদি ভারত হারে কুয়েতের কাছে, তা হলে ইগরের চাকরি যাওয়া পাকা। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, ক্রোয়েশিয়ান কোচকে সরালেও কি সুনীল ছেত্রীদের পারফরম্যান্স গ্রাফ উঠবে?
এশিয়ান গেমস, এশিয়া কাপ সহ একাধিক টুর্নামেন্টে পর পর হেরেছে ভারত। ইন্টারন্যাশনাল কাপ, ত্রিদেশীয় সিরিজ, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো কয়েক টুর্নামেন্ট জিতেছেন সুনীলরা। কিন্তু তা দিয়ে পারফরম্যান্স বিচার করা যাবে না ভারতের। বরং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতের খারাপ ফল গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। বিদেশে ট্রেনিং কিংবা বিদেশে টুর্নামেন্ট খেলার জন্য যে খরচ জোগায় কেন্দ্রীয় সরকার, তা অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে না তো? এই আশঙ্কা কিন্তু ঘিরে ধরেছে ভারতীয় ফুটবলকে। এখান থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে, যদি কুয়েতকে ঘরের মাঠে হারাতে পারে ভারত। তা কি সম্ভব?