আয়কর অভিযানে ভারতের সবচেয়ে বড় নগদ উদ্ধার ওডিশার কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে

কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়াল ওডিশার কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর। শনিবার রাঁচিতে তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর। কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে তিন ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও মদ কারখানার এক শীর্ষ কর্তা বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে টাকাভর্তি প্রায় ১৯টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দপ্তর সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ২৯০ কোটি বলে জানা গিয়েছে। এটিকে আয়কর অভিযানে ভারতের সবচেয়ে বড় নগদ উদ্ধারের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

আয়কর সূত্রে খবর, আরও বেশ কিছু জায়গায় নগদ লোকানো রয়েছে। সবটা উদ্ধার হলে ২৯০ কোটির রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে তিন ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে মদ কারখানার অন্যতম মালিকের বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে ১৯ ব্যাগ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকা গোনার মেশিন ব্যবহার করছেন ব্যাংক কর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বান্টির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা। উভয়ের বাড়িতে বিভিন্ন আসবাবের ভিতরে লোকানো ছিল নগদ এবং গয়না। ওডিশার বোলাঙ্গির জেলার বিভিন্ন জায়গায় শনিবার তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দপ্তরের ১০০ জন আধিকারিক।

 

এদিন যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেগুলি বোলাঙ্গির জেলার ব্যাংকগুলিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক আয়কর আধিকারিক। বোলাঙ্গিরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আঞ্চলিক ম্যানেজার ভগত বেহরা বলেন, ‘দু’দিনের মধ্যে টাকা গোনার কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছি। ৫০ জন ব্যাংককর্মীকে এই কাজে লাগানো হয়েছে।’ আরও কর্মীদের এই কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বেহরা।

তিনি আরও জানান, টাকাভর্তি ১৭৬টি প্যাকেট হাতে পেয়েছেন। তার মধ্যে ৪০টি প্যাকেট গোনা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাকি প্যাকেট গোনা চলছে। ৪০টি প্যাকেটেই টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছুঁয়েছে। শুধু বোলাঙ্গিরেই নয়, তিতলাগড়েও টাকা গোনার কাজ চলছে। যে সব ব্যাংকে টাকা গোনার কাজ চলছে, সেখানে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেহরা।

এর মধ্যেই আবার খবর প্রকাশ্যে এসেছে যে, বৌধ জেলার যে মদ কারখানায় আয়কর হানা চলছে, তার কাছেই একটি জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ ছেঁড়া ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়রাই এই টাকা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 12 =