শুটিংয়ে দলগত সোনা, ব্যক্তিগতভাবে ব্রোঞ্জ জয় ভারতের ঐশ্বর্যর

ছেলেবেলায় মেলায় গিয়ে বেলুন ফাটাতে ভীষণ ভালোবাসতেন ঐশ্বর্য প্রতাপ সিং তোমর । সেই তিনিই এ বারের এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় দিন জোড়া পদক পেলেন। পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের টিম ইভেন্টে আজ সোনা জেতার পর, ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ঐশ্বর্য। ২২ বছরের ঐশ্বর্য যখন হানঝাউতে ব্রোঞ্জ পেলেন, সেই সময় তাঁর বাবা বাহাদুর সিং তোমর নিজেদের খামারে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। মধ্যপ্রদেশের খরগোন জেলার রতনপুর গ্রামে বাড়ি ঐশ্বর্যর। তাঁর বাবা বাহাদুর ৩৫ একর জমির মালিক। ঐশ্বর্য এশিয়াডে ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতার পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এখন রতনপুর গ্রামে ঐশ্বর্যর সাফল্যের জন্য সেলিব্রেশন চলছে। ২২ বছরের ভারতীয় শুটার ঐশ্বর্য এশিয়াডে জোড়া সোনা জেতায় তাঁর গ্রাম রতনপুরে চলছে বিরাট সেলিব্রেশন। ঐশ্বর্যর বাবা বাহাদুর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের শুটিংয়ে ভালোবাসা শুরু হয় কীভাবে। এশিয়াডের দ্বিতীয় দিন জোড়া পদকজয়ী ঐশ্বর্যর বাবা বলেন, ‘ও যখনই বাড়ি আসে যদি নভগড়ের মেলা হয় সেখানে যায়। বাড়ির বাকি বাচ্চাদের সঙ্গে বেলুন ফাটায়। শুটিংয়ের প্রতি ওর ভালোবাসা সেখান থেকেই। ও বিশ্বকাপে পদক পেয়েছে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পদক পেয়েছে। কিন্তু এশিয়ান গেমসের মতো এত বড় মঞ্চে ও যে পদক পেল, তাতে আমাদের পরিবারের সকলে এবং জেলার সবাই ওকে নিয়ে ভীষণ গর্বিত।’ টোকিও অলিম্পিকে ভারতের শুটাররা হতাশ করেছিলেন। সেই সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ঐশ্বর্যও। তাঁর বাবা সেই সময়কার কথা মনে করে বলেন, ‘অন্যান্য তরুণ শুটারদের মতো ও টোকিওর পারফরম্যান্স নিয়ে খুব হতাশ ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 11 =