যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল। ইউরোপ সফরের মাঝেই তাই ফেরত পাঠানো হয়েছিল দেশে। এবার বহিষ্কার করা হল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা ফুটবল দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে থাকা অ্যালেক্স অ্যামব্রোজকে।
দলের এক নাবালিকা মহিলা ফুটবলারের সঙ্গে অসদাচরণের মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল অ্যালেক্সের বিরুদ্ধে। মুখ খুলেছিলেন হেড কোচ টমাস ডেরানবিও। বিষয়টিকে ভাল চোখে মেনে নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত তিন সদস্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কমিটিও। অ্যালেক্সকে সাসপেন্ড করা হয়।
তবে আরও বড় শাস্তি যে অপেক্ষা করে আছে, তা অনুমান করাই যাচ্ছিল।
এদিন অভিযুক্ত অ্যালেক্সকে বহিষ্কার করে সেই দৃষ্টান্তই তুলে ধরল এস ওয়াই কুরেশি-সহ ফেডারেশনের তিন সদস্যের অ্যামিনিস্ট্রেটর কমিটি। চাকরি গেল তাঁর। ট্রেনিংয়ে দলের এক মহিলা ফুটবলাররের সঙ্গে অসদাচারণের কারণে নরওয়ে থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল অ্যালেক্সকে। এদিন টুইটে কুরেশি জানিয়েছেন, ‘ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা দলের সহকারী কোচ অ্যালেক্স অ্যামব্রোসকে অসদাচারণের কারণে বহিষ্কার করা হল।’
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বিদেশে প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিদেশ সফরে গিয়েছিল ডেনারবির প্রশিক্ষাধীন ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলের মেয়েরা। সেখানে ট্রেনিংয়ে অ্যালেক্সের অভব্য আচরণ নজরে পড়ে কোচ ডেরানবির। দ্রুত সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে অভিযোগ জানিয়ে মেল করেন সুইডিশ কোচ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় ভারতীয় ফুটবলমহলে। অনেকেই অ্যালেক্সের কোচিং লাইসেন্স বাতিলের দাবিও জানান। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ফুটবল আঙিনায় মেয়েরা যে সুরক্ষিত, তা প্রমাণের দায় ছিল সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কমিটির। সেই পথে হেঁটে কঠোর রায় দানে দৃষ্টান্ত রাখলেন কুরেশিরা।