মরণ-বাঁচনের ম্যাচে বেশ চাপে ভারতীয় দল ! চিন্তা বাড়াচ্ছে ঋষভের চোট

সিরিজ বাঁচানোর শেষ সুযোগ। তাই ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে বুধবার মরণবাঁচন ম্যাচে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু ম্যাচের প্রথম দিনই একাধিক ধাক্কা খেল শুভমান গিলের দল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে বেশ মন্থর গতিতে ইনিংস গড়লেও, দিনের শেষে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল ঋষভ পন্থের চোট। পায়ের চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি, এবং দ্বিতীয় দিনে তাঁর খেলা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। দিন শুরু হয় ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসের টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তে। ম্যাঞ্চেস্টারের পিচে বরাবরের মতোই পেসাররা বাড়তি সাহায্য পান। তার উপরে আকাশ ছিল মেঘলা, ফলে সুইং সামলানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে সামলান ভারতের দুই ওপেনার ; যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুল। দিনের প্রথম সেশন উইকেট না হারিয়ে কাটিয়ে দেন তাঁরা। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের পরে, সেই জমাট ওপেনিং জুটি ভেঙে যায়। সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল অধিনায়ক শুভমান গিলের ব্যর্থতা। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২ রান করেই বেন স্টোকসের শিকার হন তিনি। গিলের আউটের পরে কিছুটা হাল ধরেন তরুণ সাই সুদর্শন। সুযোগ পেয়েই নিজের প্রথম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি ; ৬১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে যান। তাঁর সঙ্গে ৭২ রানের জুটি গড়েন ঋষভ পন্থ। সেই সময়েই মনে হচ্ছিল ভারত আবার ছন্দে ফিরছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বিপত্তি। ৬৮তম ওভারে ক্রিস ওকসের একটি ইয়র্কার বলে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে মারাত্মকভাবে পা মচকে বসেন ঋষভ পন্থ। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি এতটাই ব্যথায় কাতর ছিলেন যে মাঠ ছেড়ে হাঁটতে পারেননি। স্ট্রেচারে চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মাঠের বাইরে। এই চোট ভারতের ইনিংসের ছন্দেই বড় ছেদ টেনে দেয়। পন্থের আউটের ঠিক পরেই সাজঘরে ফিরে যান সাই সুদর্শনও। ক্রিজে তখন থেকে যান শুধুমাত্র রবীন্দ্র জাদেজা ও শার্দূল ঠাকুর। দু’জনেই ১৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় আড়াইশোর একটু বেশি ; যা এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এখন ঋষভ পন্থকে ঘিরে। যদি তিনি দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে না পারেন, তাহলে ভারতের স্কোর আরও চাপের মুখে পড়বে। কারণ নীচের দিকের ব্যাটিং অর্ডারে বড় ইনিংস গড়ার সামর্থ্য খুবই সীমিত। ফলে সিরিজ বাঁচানোর এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারত যে এখন থেকেই চাপে, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 17 =