প্যারিসে খাতা খুলে ফেলল ভারত। অলিম্পিকের প্রথম ইভেন্টে নেমে নিরাশ করলেন না ভারতের তিন মেয়ে। আগামিকাল প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধন। তার আগে ভারতের প্রথম ইভেন্ট হিসেবে আর্চারি নিয়ে ছিল আগ্রহ। দীপিকা কুমারী, অঙ্কিতা ভকত, ভজন কৌররা যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করলেন। দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, মেক্সিকো টিম ইভেন্টের শেষ আটে পা রেখেছে। ভারতও কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। তা হলে কি পদকের স্বপ্ন দেখা যায়? আইফেল টাওয়ার এখনও বহু দূর।
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে শেষ বার ভারতের মেয়েদের আর্চারি টিম যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এক যুগ পর আবার ভারতের মেয়েরা গিয়েছেন অলিম্পিকে। আসা-যাওয়ার মাঝে আর্চারি থেকে পদক কখনও আসেনি। এ বার খানিকটা হলেও আশা রাখা যায়। তার কারণই হল ভারতের দুই তরুণী। আরও ভালো করে বললে বাংলার মেয়ে। সিঁথি মোড়ের অঙ্কিতা ভকত দুরন্ত পারফর্ম করলেন আর্চারির কোয়ালিফাইং রাউন্ডে। বাঁ-হাতি তিরন্দাজ শুরু থেকেই লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণেই ভারতীয় টিম কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখতে পারল। আর, ভালো খেললেন ভজন কৌর। দীপিকা অবশ্য শুরুটা খারাপ করেছিলেন। ইভেন্টের মাঝপথে নিজেকে খানিকটা ফিরে পান। অঙ্কিতা, ভজনের মতো দীপিকাও যদি সেরাটা দিতে পারেন, তা হলে পদকের স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে।
মেয়েদের এই ইভেন্টে ব্যক্তিগত বাছাইও তৈরি হল। অঙ্কিতা যেহেতু শুরু থেকে ভালো পারফর্ম করছিলেন, শেষও করলেন ১১ নম্বরে। ব্যক্তিগত ইভেন্টে তিনি খানিকটা সুবিধে পাবেন। শুরুতেই কঠিন প্রতিপক্ষর মুখে পড়তে হবে না। অঙ্কিতা মোট ৬৬৬ পয়েন্ট তুললেন। ৬৫৯ ভজন কৌরের। আর ৬৫৮ দীপিকার। ভজন ও দীপিকা ২২ ও ২৩ নম্বর বাছাই হিসেবে শেষ করলেন। ভারতের মেয়েদের মোট পয়েন্ট ১৯৮৩। ফ্রান্স বা নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দেখা হতে পারে ভারতের। যদি সেমিফাইনালে ওঠেন অঙ্কিতারা, তা হলে কোরিয়ার মুখে পড়তে হতে পারে।
আর্চারির ব়্যাঙ্কিং রাউন্ডেই বিশ্ব রেকর্ড হয়ে গেল। দক্ষিণ কোরিয়ার লিম সি-হিয়ন শীর্ষবাছাই যেমন হলেন, তেমনই ৬৯৪ পয়েন্ট তুলে বিশ্ব রেকর্ড নাম লিখে ফেললেন নিজের। ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ারই চেইয়ং কাং ৬৯২ পয়েন্ট তুলে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন। লিমের দুরন্ত পারফরম্যান্সের কারণেই দলগতভাবেও অলিম্পিক রেকর্ড করে ফেললেন কোরিয়ানরা। ২০৪৬ পয়েন্ট তোলেন তাঁরা। ভারতের চ্যালেঞ্জ হতে পারেন এই কোরিয়ানরাই।