মোটা টাকার প্রতারণার শিকার হলেন উমেশ যাদব

ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বিশ্বাস করে নিজের ম্যানেজার বানিয়েছিলেন। টাকা পয়সার হিসাব থেকে ব্যাংকের কাজকর্ম সবকিছু তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুই উমেশ যাদবের সঙ্গে বড়সড় প্রতারণা করে বসলেন। ক্রিকেটারের অভিযোগ, তাঁর বন্ধু তথা ম্যানেজার জমি কেনার নামে ৪৪ লক্ষ টাকা তাঁর কাছ থেকে নিয়ে আর ফেরত দেননি।

উমেশ যাদবের এই গুণধর বন্ধুটির নাম শৈলেশ ঠাকরে। শৈলেশ উমেশের থেকে বছর দু’য়ের বড়। তাঁদের সম্পর্কও বেশ ভাল ছিল। উমেশ যখন প্রথমবার ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন, তখন থেকেই তাঁর আর্থিক লেনদেন, আয়করের বিষয়টি দেখাশোনা করতেন শৈলেশ। এমনকী এই কাজের বিনিময়ে কোনও পারিশ্রমিকও নিতেন না। ২০১৩ সাল থেকে উমেশ তাঁর বন্ধুকে পারিশ্রমিক দেওয়া শুরু করেন। প্রথমে ঠিক হয়েছিল আর্থিক লেনদেনের জন্য মাসে ৩৫ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক নেবেন শৈলেশ। কিন্তু উমেশ নিজেই সেটা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করে দেন।

বন্ধুকে তিনি এতটাই ভরসা করতেন যে নিজের পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিও তাঁকে দিয়ে রেখেছিলেন ভারতীয় পেসার। বিসিসিআই, উমেশের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কেকেআর, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এবং ব্র্যান্ড প্রমোশনের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন দেখতেন শৈলেশই। কিন্তু সেই শৈলেশই তাঁকে ‘ধোঁকা’ দিয়ে দিলেন। উমেশের অভিযোগ, নিজের বন্ধু কাম ম্যানেজারকে নাগপুরের কাছে একটি জমি কেনার জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে শৈলেশ জমি তো কিনেছেন। কিন্তু সেটা নিজের নামে। উমেশের নামে নয়। উমেশের অভিযোগ, তাঁর বন্ধুকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি ওই জমি তাঁর নামে লিখে দেননি। আবার টাকাও ফেরত দেননি। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। নাগপুর পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =