ভারত-চিন সীমান্তে ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘প্রলয়’ রাখার পরিকল্পনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। এদিকে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত -চিনের মধ্যে সংঘর্ষের আবহে ভারতীয় সেনাবাহিনী ক্রমাগত তাদের শক্তি বাড়াচ্ছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর। এমনই এক পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবার ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘প্রলয়’ কেনার কথা ভাবছে। এরই পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘রকেট ফোর্স’ তৈরির কথাও ভাবছে। রকেট ফোর্স গঠনের এই প্রস্তাবও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে বিবেচনাধীন রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এই নিয়ে একটি বৈঠক হওযার কথা। আরএই রকেট ফোর্স গঠনের কথা প্রথম পরিকল্পনা করেন প্রয়াত সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই মিসাইল কেনার প্রস্তাব অনেকটাই এগিয়েছে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  প্রসঙ্গত, এই ‘প্রলয়’ ব্যালিস্টিক মিসাইল ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শত্রুর লক্ষ্যবস্তুকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ইন্টারসেপ্টর মিসাইলও আক্রমণের মাধ্যমে ধ্বংস করতে পারবে না। এটি বাতাসে কিছু পরিসর পর্যন্ত নিজস্ব পথ পরিবর্তন করতে সক্ষম। পাশাপাশি, মোবাইল লঞ্চার থেকে প্রলয় মিসাইল উৎক্ষেপণ করা যায়। প্রলয় মিসাইল তৈরি করেছে ডিআরিডও। এখানে আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখা শ্রেয় যে, গত ২০২১-এর ডিসেম্বরে গত বছরের ডিসেম্বরে পরপর দু’দিনে দু’বার পরীক্ষা হয় এই মিসাইলের কার্যকারিতা সম্পর্কে। সফলও হয় সে  পরীক্ষা।এরপরই পরিকল্পনা চলতে থাকে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এটি অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রেও। এদিকে লাইন অফ অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে এই মিসাইল রাখার চিন্তাভাবনাও শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে। কারণ, এর সাহায্যে উচ্চ উচ্চতায় থাকা চিনা লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করা সহজ হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − one =