তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জিইয়ে রাখল ভারত

হার্দিক ফিনিশেস অফ ইন স্টাইল! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রত্যাবর্তন ভারতের। তৃতীয় ম্যাচে সাত উইকেটে জিতল ভারত। শেষ দিকে প্রয়োজন ছিল ২ রান। ক্রিজে ৪৯ রানে খেলছেন তিলক ভার্মা। উল্টোদিকে হার্দিক পান্ডিয়া। ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন ভারত অধিনায়ক। ১৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছল ভারত। সিরিজ এখন ২-১ অবস্থায়। ভারতের কাছে বাকি দুটি ম্যাচই এখন নকআউট। পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকায়। সে কারণেই একঝাঁক তরুণ মুখকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই সিরিজে। প্রথম ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় পেসার মুকেশ কুমার ও মিডল অর্ডার ব্যাটার তিলক ভার্মার। এদিন অভিষেক হল যশস্বী জয়সওয়ালের। আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন যশস্বী। এই সফরে টেস্ট অভিষেকেও নজর কেড়েছেন। ১৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। যদিও টি-টোয়েন্টি অভিষেক সুখকর হল না। রান তাড়ায় নেমে মাত্র ১ রানেই যশস্বীর ইনিংসের ইতি হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সুযোগ ছিল এ দিনই সিরিজ জেতার। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। শুরু থেকে মূলত স্পিনের জালে আটকে রাখেন হার্দিক। তবে বড় রানের দিকেই এগচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৫ তম ওভারে কুলদীপ যাদবের জোড়া ধাক্কায় কিছুটা সমস্যায় পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একই ওভারে নিকোলাস পুরান এবং সেট ব্যাটার ব্রেন্ডন কিংকে ফেরান কুলদীপ। শেষ দিকে রোভম্যান পাওয়েলের ১৯ বলে ৪০ রানে বিধ্বংসী ইনিংস। ভারতের জন্য ১৬০ লক্ষ্য গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রান তাড়ায় শুরুতেই যশস্বীর উইকেট হারায় ভারত। কিছুক্ষণের ব্যবধানে ফেরেন শুভমন গিলও। প্রথম দু-ম্যাচের মতো ভরসা দিলেন তরুণ ব্যাটার তিলক ভার্মা। উল্টোদিকে সূর্যকুমার যাদব থাকায় ইনিংস অ্যাঙ্কর করছিলেন তিলক। পরে তিনিও বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। ৫১ বলে ৮৭ রান যোগ করেন সূর্য ও তিলক। দলীয় ১২১ রানে ফেরেন স্কাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয় মারার সেঞ্চুরি করেন স্কাই। ৪৪ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ফেরেন তিনি। তিলকের সঙ্গে ৩১ বলে ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৯ রানে অপরাজিত তিলক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − two =