আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২ রানে জয়ী ভারত

আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড অক্ষত রাখল ভারত। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারতীয় দল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টির প্রভাব। শেষ অবধি মাঝ পথেই বন্ধ করতে হল ম্যাচ। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ভারত জয়ী ২ রানে। প্রত্যাবর্তনে অনবদ্য জসপ্রীত বুমরা। তাঁর মতোই দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়লেন প্রসিধ কৃষ্ণাও। তবে কিছুটা হতাশা রিঙ্কু সিংয়ের। অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার সুযোগই পেলেন না আইপিএলে তারকা হয়ে ওঠা এই প্রতিভাবান ‘ফিনিশার’। আইপিএল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এই সফর অনেকেই পাড়ি দিয়েছেন। এর মধ্যে আরও একটা নাম যোগ হয়েছে, রিঙ্কু সিং। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নজর কেড়েছেন। সারাক্ষণ নানা ভাবে নিজেকে ম্যাচের মধ্যে যুক্ত রাখেন রিঙ্কু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তার অন্যথা হয়নি। হলপ করে বলা যায়, ভারতীয় দল আরও একজন অনবদ্য ফিল্ডার পেল। পাওয়ার প্লে-তে তার ফিল্ডিং আয়ার্ল্যান্ডের কাজ আরও কঠিন করে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতীয় দলকে প্রথম বার কোনও পেসার নেতৃত্ব দিলেন। জসপ্রীত বুমরা এর আগে টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেতৃত্বের অভিষেকেই নজর কাড়লেন। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বুমরা। বোলিংও ওপেন করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় বছরখানের পর প্রত্যাবর্তন। প্রথম বলে বাউন্ডারি। পরের বলেই উইকেট। ৪ রান দিয়ে জোড়া উইকেটে প্রত্যাবর্তনের ওভার শেষ করেন বুমরা। এই ফরম্যাটে অভিষেক হল প্রসিধ কৃষ্ণার। ওয়ান ক্রিকেটে নজর কেড়েছেন। চোট সারিয়ে দীর্ঘ সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন প্রসিধ। অনবদ্য বোলিং তারও। বুমরা-প্রসিধদের সৌজন্যে পাওয়ার প্লে-তেই ৪ উইকেট হারায় আয়ার্ল্যান্ড। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আরও একটা উইকেট প্রসিধের। মাত্র ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল আয়ার্ল্যান্ড। আয়ার্ল্যান্ডকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেন ব্যারি ম্যাকার্থি ও কার্টিস ক্যাম্ফার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফসেঞ্চুরি ব্যারি ম্যাকার্থির। শেষ পাঁচ ওভারে ৫২ রান তোলে আয়ার্ল্যান্ড। শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারতকে ১৪০ রানের লক্ষ্য দেয় আয়ার্ল্যান্ড। ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। গত দু-বছর যেমন অধিনায়ক বদল হয়েছে, তেমনই বারবার ওপেনিং জুটি নিয়েও পরীক্ষা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম দু-ম্যাচে ওপেন করেছিলেন শুভমন গিল ও ঈশান কিষাণ। পরবর্তী ম্যাচগুলিতে শুভমন গিলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন যশস্বী জয়সওয়াল। আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে যশস্বীর সঙ্গে ওপেনিংয়ে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। বোর্ডে ১৪০ রানের লক্ষ্য। পাওয়ার প্লে-তে সতর্ক শুরু করেন যশস্বী ও ঋতুরাজ। নজরে ছিল ডাকওয়ার্থ লুইস স্কোরও। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। ম্যাচ সম্পূর্ণ করার জন্য অন্তত পাঁচ ওভার হওয়া প্রয়োজন ছিল। পাওয়ার প্লে-র পরের ওভারেই পরপর দু-বলে যশস্বী জয়সওয়াল ও তিলক ভার্মাকে ফিরিয়ে জোড়া ধাক্কা দেন ক্রেগ ইয়ং। ভারতীয় ইনিংসের ৬.৫ ওভারে বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়। এরপর আর খেলা শুরু করা যায়নি। সে সময় ভারতের স্কোর ছিল ৪৭-২। ডাকওয়ার্থ লুইসে মাত্র ২ রানে জয়ী ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − fourteen =