অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স! সোনা জিততেই নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এ ভাবে নিঃসন্দেহে নয়। প্রকৃতির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। ফল মেনে নিতেই হবে। এমনিতেও এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে ফেভারিট ছিল ভারতই। মেয়েদের ক্রিকেটে সোনা জিতেছিলেন স্মৃতিরা। পদক জিতে জেমাইমা বার্তা দিয়েছিলেন, ‘আমরা সোনা জিতেছি, তোমরাও এনো।’ পুরুষদের দলের ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কথা রাখলেন ঋতুরাজরা। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে একপেশে ম্যাচ জিতেছিল। বৃষ্টিতে ফাইনাল ম্যাচ মাঝপথেই পরিত্যক্ত হয়। প্রতিযোগিতার শীর্ষবাছাই হিসেবে সোনা ভারতের। চিনে স্পিন দাপট! শুরুতে তাই হল। বৃষ্টিতে কিছুটা দেরিতে শুরু হয় ভারত-আফগানিস্তান সোনার পদকের ম্যাচ। বাঁ হাতি পেসার অর্শদীপ সিং এবং শিবম দুবের ওপেনিং স্পেল। তিন ওভারের মধ্যে জুটিতে ২ উইকেট ভারতের দখলে। এরপরই স্পিনারদের আক্রমণে আনেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ওয়াশিংটন সুন্দর, সাই কিশোর, শাহবাজ আহমেদ, রবি বিষ্ণোই। স্পিনারদের জন্য পিচ থেকে দারুণ সহায়তা। এতেই সমস্যায় পড়লেন ভারতের স্পিনাররা। হানঝাউয়ের ছোট মাঠ। লেন্থ একটু এদিন-ওদিক হলেই শাস্তি। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেটে মাত্র ২৭ রান তোলে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দর লেন্থ ঠিক রাখতে পারলেন না। নয়তো আরও কম রানই হত। তবে দ্রুতই আফগানিস্তানের পাঁচ উইকেট নিয়ে বিপদে ফেলেছিল ভারত। শাহিদুল্লা কামালের সঙ্গে ইনিংস মেরামত করেন অধিনায়ক গুলবদিন নায়েব। ১৬ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৮৯-৫। স্লগ ওভারে আরও বেশি রান যোগ করাই লক্ষ্য ছিল গুলবদিনদের। ১৮তম ওভারে অর্শদীপকে আনেন ঋতুরাজ। কিন্তু মাঠ ভেজা থাকায় বোলারদের পক্ষে বল গ্রিপ করাই চাপের হয়ে দাঁড়ায়। বৃষ্টির তেজ বাড়তে থাকায় দ্রুত মাঠ ঢাকতে হয়। সে সময় ১৮.২ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ১১২-৫। ভারতীয় সময় দুপুর ২.১৫ নাগাদ ঘোষণা হয়, স্থানীয় সময় ৫.১৮-এর মধ্যে খেলা শুরু করা না গেলে পরিত্যক্ত ঘোষণা হবে। অন্তত পাঁচ ওভারের ম্যাচের জন্য এটি কাট-অফ টাইম। ভারতীয় সময় অনুযায়ী ২.৩৮-এর মধ্যে ম্যাচ শুরু করতে হত। কিন্তু এর কোনও সম্ভাবনা ছিল না। তখনও বৃষ্টি পড়ছে, মাঠ ঢাকা। শেষ অবধি ভারতীয় সময় ২.৩৪ নাগাদ ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়। এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, আইসিসি ক্রমতালিকায় এশিয়ার শীর্ষ দল জিতবে। ভারত এশিয়ার শীর্ষ দল, প্রতিযোগিতার শীর্ষ বাছাই হিসেবে সোনাজয়ী।