ইজরায়েল, ১২ নভেম্বর: প্রায় ৩৫ দিন পরও যুদ্ধ অব্যাহত। সেই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল দ্বিধাবিভক্ত। শুরু থেকেই অনেকেই ইজরায়েলকে সমর্থন করলেও, একে একে বেশিরভাগই যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। এমতবস্থায় রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত। দিল্লি প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলি দখলদারির তীব্র নিন্দা করল।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইনের হামাস সংগঠনের মধ্যে গত একমাসব্যাপী যুদ্ধে গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিক মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ শিশুও রয়েছে। ১৫০০ শিশু ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে একে একে সরব হতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও পেশ করা হয়। জোরকরে প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলের বসতি গড়ে তোলার নিন্দা করা হয়। পূর্ব জেরুজালেম থেকে সিরিয়ার কাছ থেকে ছিনিয়ে অধিগ্রহণ করে রাখা গোলানে ইজরায়েলি কার্যকলাপের নিন্দা করে এহেন প্রস্তাব আনা হয়। ইজরায়েলের নিন্দা প্রস্তাবে সপক্ষে ১৪৫টি দেশ ভোট দেয়। ভারতও তার মধ্যে রয়েছে। ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে আমেরিকা এবং কানাডা সহ আটটি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ১৮টি দেশ।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধের শুরুতেই ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল ভারত। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিবৃতি দিয়ে জানান, যা ভারতের এযাবৎকালীন বিদেশনীতির পরিপন্থী ছিল। এরপর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভারত প্যালেস্টাইনের পক্ষেই। শুধু হামাস যেসব করছে, সেই কার্যকলাপের বিরোধী। তখন গাজায় শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব উঠলে, ভোটদানে বিরত ছিল দিল্লি।
কিন্তু বর্তমানে যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় ৩৫ দিনের বেশি পেরিয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনীর হানায় শুধুমাত্র গাজাতেই ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন, এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু। প্রাণহানি ঘটেছে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও। এমনকি গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফাকে অবরুদ্ধ করে রাখা, সেখানে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। তাতে ইতিমধ্যেই দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। এখানেই শেষ নয়, কোনও মুভমেন্ট করতে দেখলেই স্নাইপাররা এলোপাথারি গুলি চালিয়ে যাচ্ছেন, হাসপাতালে ড্রোন হামলাও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।