প্রোটিয়াদের উড়িয়ে টি-২০ সিরিজ শুরু ভারতের

এদিন ডারবানের কিংসমিডে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। এই মাঠের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ মধুর। এখানেই ছয় ছক্কার অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন যুবরাজ সিং। এদিন সেই স্মৃতি ফেরালেন সঞ্জু স্যামসন। ম্যাচের শুরু থেকেই বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে শুরু করেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরি করেছিলেন। এখানে যেন সেই ইনিংসই ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলল। মারলেন ৭টি চার। আর ছক্কা হাঁকালেন ১০টা। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতেও বেশিক্ষণ লাগল না। মার্কো জানসেন, জেরাল্ড কোয়ের্ৎজে, কেশব মহারাজ কেউই রেহাই পেলেন না। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ১০৭ রানে থামল তাঁর ইনিংস। অন্যদিকে অবশ্য অধিনায়ক সূর্য (২১) ও তিলক বর্মা (৩৩) ছাড়া কেউই রান পেলেন না। কিন্তু সঞ্জু একাই একশো। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পর পর দুম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন সঞ্জু। পরের দিকে হার্দিক পাণ্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, অক্ষর প্যাটেলদের ব্যাট নীরব রইল। যে কারণে ২০২ রানে আটকে গেল ভারতের ইনিংস।

তাতেও অবশ্য ম্যাচ জিততে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। শুরুতেই অবশ্য ধাক্কা দিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং। প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করামকে প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন তিনি। রানের গতির বেগ একেবারেই বাড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সময়মতো ফাঁস আরও দৃঢ় করেন বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর ঘূর্ণির শিকার রায়ান রিকেলটন, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার। অন্যদিকে নিচের সারির ব্যাটারদের বন্দি করেন রবি বিষ্ণোই। তিনি ফেরান প্যাট্রিক ত্রু«গার, মার্কো জানসেন, সিমেলেনকে। শেষের দিকে কোয়ের্ৎজে একটা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও লাভের লাভ হয়নি। ততক্ষণে হাতের রশি দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে গিয়েছে। তিনি ফিরে গেলেন সূর্যকুমারের অসামান্য থ্রোয়ে রানআউট হয়ে। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা থামল ১৪১ রানে। চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জিতে এগিয়ে গেলেন সূর্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =