ওভালে মাত্র ৬ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল ভারত

দুর্দান্ত একটা সিরিজের সমাপ্তি। শেষ এমন রোমাঞ্চকর হবে, এ যেন প্রত্যাশার বাইরে। টেস্ট ক্রিকেটের আনন্দ এখানেই। যে কোনও মুহূর্তে সব বদলে যেতে পারে। প্রথম ইনিংসে ভারত সামান্য পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে কামাল। ওভালের পরিসংখ্যানও ভারতের পক্ষে। তেমনই ইংল্যান্ডকে ৩৭৪ রানের কার্যত অসম্ভব একটা টার্গেট দিয়েছিল ভারতীয় দল। কিন্তু এই টার্গেটও এক সময় সহজ মনে হয়েছে। চতুর্থ উইকেটে হ্যারি ব্রুক ও জো রুট জুটি ১৯৫ রান যোগ করেছিল। ব্রুকও ফেরেন। তাতেও খুব একটা আশঙ্কা ছিল না ইংল্যান্ড শিবিরে। তবে রুটকে ফিরিয়ে ভারতও ম্যাচে ফেরে। আর শেষ দিন চূড়ান্ত নাটক। ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান, ভারতের ৪ উইকেট। মাত্র ৬ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত।

ভারতীয় বোলিংয়ের প্রশংসা করতেই হয়। তবে আলাদা করে বলতে হয় মহম্মদ সিরাজের কথা। গত কয়েক সিরিজে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সুযোগ পাননি। কিন্তু লাল-বলে যে ধার কমেনি, ইংল্যান্ড সফরে আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। ওভালের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ফাইফার। মাত্র ৬ রানের জয়ে প্রথম বার এমন কাণ্ড। ভারতীয় ক্রিকেটে অভূতপূর্ব রেকর্ড।

বিদেশের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ বহু খেলেছে ভারত। কিন্তু সিরিজের শেষ ম্যাচে জয়ের খরা কিছুতেই কাটছিল না। অবশেষে সেই খরা কাটল। ওভালে ছিল পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ। আর তাতে জিতেছে ভারত। যা প্রথম বার। আরও ভালো করে বললে, বিদেশের মাটিতে এর আগে ১৬ বার পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত। কিন্তু শেষ ম্যাচ কোনও বারই জিততে পারেনি। যেটা এ বার হল।

ওভাল টেস্টে জিতে সিরিজও ড্র করেছে ভারত। লিডসে শুরু হয়েছিল সফর। শুভমন গিলের নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচে হার। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। প্রথম বার এজবাস্টনে টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েছিল। লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে আক্ষেপের বড় জায়গা। ভারতের কাছে পুরো সুযোগ ছিল ২-১ এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু উল্টে ১-২ পিছিয়ে পড়ে। ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্টে খাদের কিনারা থেকে ম্যাচ ড্র করেছিল ভারত। আর শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজও ড্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 2 =