পুলওয়ামা হামলায় শহিদদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

দেখতে দেখতে পার হল পুলওয়ামার হামলার  চার-চারটি বছর। মঙ্গলবার এই বিশেষ দিনে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে টুইটও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র। টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দু’জনেই দেশের প্রতি শহিদ জওয়ানদের অতুলনীয় সেবার কথা স্মরণ করেন। টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘ ২০১৯ সালে আজকের দিনে পুলওয়ামায় শহিদ সকল জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাই। দেশের প্রতি তাঁদের অতুলনীয় সেবার কথা স্মরণ করি। তাঁদের সাহসিকতা ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ প্রত্যেক ভারতীয়কে এক শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ করে।‘ এদিকে অমিত শাহ তাঁর টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমি সেই সাহসী জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা ২০১৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় তাঁদের জীবন দিয়েছেন। জাতি তাঁদের আত্মত্যাগকে ভুলতে পারবে না। দেশের প্রতি তাঁদের অতুলনীয় সেবার কথা স্মরণ করি। তাঁদের সাহসিকতা ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ প্রত্যেক ভারতীয়কে এক শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের বীরত্ব ও অদম্য সাহস সবসময় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।‘ গোটা বিশ্বজুড়ে আজ ভ্যালেন্টাইনস ডে অর্থাৎ ভালোবাসার দিন। আর এই দিনেই ৪ বছর পূর্ণ হল পুলওয়ামা হামলার।

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। প্রাণঘাতী এই হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন সেনা জওয়ান। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫০০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের ৭৮ টি কনভয় ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে জম্মু থেকে কাশ্মীর যাচ্ছিল। বিকেল প্রায় ৩ টে ১৫ মিনিট নাগাদ লেথপোরায় অওয়ান্তিপোরা এলাকায় সেনাদের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি। সিআরপিএফ জওয়ানের ৭৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের গাড়িকে ধাক্কা মারে। বিস্ফোরণে দুর্ঘটনাস্থলে শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। জখম হন বেশ কয়েকজন।

২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন ভারতবাসী। বিশ্বজুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়। ঘটনার তদন্তে নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। তদন্তে উঠে আসে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংঘটন জয়েশ-ই মহম্মদের নাম। পালটা আঘাত করে ভারত। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এয়ারস্ট্রাইক করে ভারত। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি নিকেশ করে। তবে, চার বছর আগে এই ঘটনা নিয়ে কম চাপানউতোর হয়নি। আগাম গোয়েন্দা রিপোর্টে হামলার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হলেও, জওয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কেন ব্যবস্থা নেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় বিরোধী দল কংগ্রেসের তরফ থেকেও। কংগ্রেসের তরফ থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগও আনা হয়, সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =