এবার ছোটদের এশিয়া কাপে ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাক !  তবে এখনো আলোচনার কেন্দ্রে সেই হ্যান্ডশেক বিতর্ক !

গত এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফলের থেকেও বেশি আলোচনায় উঠে এসেছিল হ্যান্ডশেক বিতর্ক। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকেই দু’দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক এমনিতেই তলানিতে। তার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল ক্রিকেট মাঠেও। গত এশিয়া কাপে দেখা গিয়েছিল, মাঠে নামার মুহূর্ত থেকে শুরু করে ম্যাচ শেষে পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনও সৌজন্য বিনিময় হয়নি। টসের সময়ও একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি দুই দলের অধিনায়ক। এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক, যা ম্যাচের ফলকেও প্রায় আড়াল করে দেয়।
এবার ফের সেই প্রসঙ্গ সামনে আসছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। সিনিয়র দলের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি, তার মধ্যেই জুনিয়র স্তরে ফের হ্যান্ডশেক ইস্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে আইসিসি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া আটটি দলকেই নির্দেশ দিয়েছে, ম্যাচের আগে ও পরে করমর্দন করতে হবে।
তবে বাস্তবে সেই নির্দেশ মানা হবে কি না, তা নির্ভর করছে ভারতীয় দলের কোচ হৃষিকেশ কানিতকর, টিম ম্যানেজার আনন্দ দাতার এবং অধিনায়কের সিদ্ধান্তের উপর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেটারদের এখনও এ বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয়নি। তবে বিসিসিআই ম্যানেজার আনন্দ দাতারকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—যদি ভারতীয় দল পাকিস্তানের সঙ্গে হাত না মেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ম্যাচ রেফারিকে আগেভাগেই তা জানাতে হবে। ওই কর্তার কথায়, আইসিসি জুনিয়র ক্রিকেটে রাজনীতিকে টানতে চায় না, সেই কারণেই তারা বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে।
উল্লেখ্য, গত এশিয়া কাপে হ্যান্ডশেক বিতর্কের সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টেকে টুর্নামেন্ট থেকে সরানোর দাবি তুলেছিল পাকিস্তান। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। যদিও আইসিসি সেই দাবি মানেনি। এর জেরে পাকিস্তানের তরফে বয়কটের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। পিসিবি প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, তারা আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নখবির সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তান দল মাঠে নামে। এই ইস্যুতে প্রাক্তন পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজাও অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। তাঁকে ‘ভারতের ফিক্সার’ বলেও কটাক্ষ করেন রাজা। বিশেষ করে ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমারের ভারতীয় সেনাবাহিনীকে জয় উৎসর্গ করা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন তিনি। রাজা মন্তব্য করেন, ক্রিকেট মাঠ যদি রাজনীতির ময়দানে পরিণত হয়, তাহলে কারও লাভ হয় না। এখন দেখার, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সেই বিতর্ক নতুন রূপ নেয় কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − six =