কলকাতা :আবারও ভারত বনাম পাকিস্তান, আবারও চিরচেনা রোমাঞ্চ, আর শেষ হাসি হেসেছে ভারতই। এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। তবে মাঠের লড়াইয়ের মতোই চর্চায় এসেছে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ব্যঞ্জনাময় মন্তব্য। জয় নিশ্চিত হতেই নরেন্দ্র মোদী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “মাঠেও অপারেশন সিঁদুর। আর ফলাফল সেই একই—ভারত জিতেছে।”

উল্লেখ্য, পহেলগাম জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছিল। ধ্বংস হয়েছিল নয়টি জঙ্গিঘাঁটি, নিহত হয়েছিল শতাধিক সন্ত্রাসবাদী। সেই প্রসঙ্গই ক্রিকেট মাঠে ভারতের সাফল্যের সঙ্গে মিলিয়ে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলে এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে।
ফাইনালের শুরুতে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি কিছুটা চাপ সৃষ্টি করলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। কুলদীপ যাদব একাই নেন চারটি উইকেট, অক্ষর ও বরুণের ঝুলিতে যায় দুটি করে। বাকি দুই উইকেট দখল করেন বুমরাহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতও প্রথমে টালমাটাল—দশ ওভারেই তিন উইকেটের পতন। কিন্তু শিবম দুবে ও তিলক বর্মার জুটিতে সহজেই জয় ছিনিয়ে নেয় নীল জার্সিধারীরা।
তবে বিতর্ক তৈরি হয় ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠান ঘিরে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তথা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভির উপস্থিতিতে সূর্যকুমার যাদবরা আসল ট্রফি মঞ্চে তুলতে অস্বীকার করেন। ফলে বয়কটের সুর আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ভারতের এশিয়া কাপ জয় তাই শুধু ক্রিকেটীয় সাফল্য নয়, রাজনৈতিক বার্তাবহও বটে—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

