ইন্ডিয়া নাম পরিবর্তন করে ভারত রাখার বিষয়ে এবার টুইটে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন -কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আনলেন নতুন নামকরণের পেছনে ‘নজর ঘোরানো’ তত্ত্ব।
টুইটে নাম পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানান, ইন্ডিয়া ভার্সেস ভারত মূলত বিজেপি সরকারের নজর ঘোরানোর একটি কৌশল। ডাবল ইঞ্জিন এবং জাতীয়তাবোধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ঠুনকো প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন করেননি বলেও কেন্দ্রকে বিদ্ধ করেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে অভিষেক টেনে এনেছেন, আকাশছোঁয়া জিনিসপত্রের দাম, মুদ্রাস্ফীতি, সাম্প্রদায়িক অশান্তি, কর্মসংস্থানের অভাব, সীমান্তে সমস্যা নিয়ে দেশে একাধিক সমস্যার কথা। আর এগুলো নিয়ে আলোচনা না করে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র বলেই জানাচ্ছেন অভিষেক।
জি ২০ সম্মেলনের আমন্ত্রণ পত্রে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আগামী অধিবেশনে দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে ভারত করার ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের পরেই বিরোধীদের তরফ থেকে শুরু হয়েছে আক্রমণের পালা।
এদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নামকরণ ইস্যুতে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, ‘ভারত তো আমরা বলিই।এর মধ্যে নতুনত্ব কী আছে?’ এই প্রসঙ্গে মমতার ব্যাখ্যা, ‘ইংরেজিতে বলা হয় ইন্ডিয়াস কনস্টিটিউশন। কবিতার লাইন উল্লেখ করে তিনি জানান, আমাদের মনে রাখতে হবে, ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো।’ সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো এও জানান, ‘ইন্ডিয়া নামে সারা বিশ্ব আমাদের দেশকে চেনে। তাঁর প্রশ্ন, হঠাৎ আজকে কী এমন হল যাতে দেশের নাম বদলে দিতে হবে? তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বড় বড় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে দিচ্ছে। ইতিহাসকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে।’
এদিকে দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধিতা করেছে একাধিক বিরোধী দল। তাঁদের মতে, সম্প্রতি কেন্দ্রের বিরোধী দলগুলো ইন্ডিয়া নামে বিরোধী জোট তৈরি করেছে। সেই নাম নিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়বে। সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে নামকরণের দিক থেকে বিভ্রান্তিতে পড়তে হতে পারে বিজেপি ও বিজেপি জোটের দলগুলোকে। সেই কারণে তড়িঘড়ি দেশের নাম ভারত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলেই মনে করছে বিরোধীরা। যদিও, ব্রিটিশ স্বত্তা বজায় না রেখে দেশীয় নাম ব্যবহারের কারণেই নাম পরিবর্তন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।