ভারত কখনও কেপটাউনে জেতেনি। শুধু তাই নয়, এশিয়ার কোনও টিমই কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি! দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গ কেপটাউন। এ বার সেখানে জিতে ইতিহাস ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যেমন ব্রিসবেন দুর্গ ভেঙেছিল তরুণ ভারত। কেপটাউনে তরুণ-অভিজ্ঞতার মিশেলে দেড় দিনেই জয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইনিংস ও ৩২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে দেড়দিনেই জয় রোহিতদের। ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ৭৯ রান। এই রান ডিফেন্ড করতে হলে ইতিহাস গড়তে হত প্রোটিয়াদের।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম স্কোর ডিফেন্ড করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ১৮৮২ সালে ওভালে মাত্র ৮৫ রানের পুঁজি নিয়ে ইংল্যান্ডকে ৭৭ রানে অলআউট করেছিল অজিরা। ৭ রানের জয়ে ইতিহাস গড়েছিল। বুমরা-সিরাজের অনবদ্য বোলিংয়ে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ৭৯ রান। যদিও পিচের যা পরিস্থিতি তাতে, এই রানেও যেন ইতিহাস সম্ভব ছিল। যদিও যশস্বী জয়সওয়ালের মতো তরুণ ব্যাটার সেই রেকর্ডের ‘মেজাজে’ ছিলেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও নেওয়া হয়। এরপর ভারতের রান তাড়া শুরু। প্রথম বলে পুল শট বাউন্ডারি যশস্বীর। পরের বলে স্লিপে ক্যাচ শর্ট পড়ে। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে, পরের বলে সিঙ্গল। শুরুতেই মানসিকতা পরিষ্কার করে দেন যশস্বী জয়সওয়াল। ছোট রানের লক্ষ্য অনেক সময়ই সমস্যা তৈরি করে। তাই যত দ্রুত সম্ভব লক্ষ্যে পৌঁছনোয় নজর ছিল। যশস্বী ২৩ বলে ২৮ রানে ফেরেন। এর মধ্যে ২৪ রান এসেছে বাউন্ডারিতেই। রোহিতও বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছিলেন। যশস্বী আউট হতে কিছুটা সংযত হন।
যশস্বী আউট হতেই তিনে যথারীতি আর এক তরুণ ক্রিকেটার শুভমন গিল ক্রিজে। অন্যদিকে, ডাগআউটে প্রস্তুত ছিলেন বিরাট কোহলিও। যদিও তাঁকে নামতে হবে, এমন পরিস্থিতি না হওয়াই কাম্য ছিল। যদিও শুভমন তা নিশ্চিত করতে পারলেন না। কাগিসো রাবাডার নীচু হওয়া ডেলিভারিতে ক্লিন বোল্ড গিল। ক্রিজে নামেন বিরাট কোহলি। তখন আর জয়ের জন্য় ২২ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে বিরাটও লেগ সাইডে কট বিহাইন্ড! রিভিউ নিয়ে সাফল্য।
তার আগে রোহিতের সহজ ক্যাচ ফেলেন টনি ডি জর্জি। বিরাট উইনিং শট খেলতে পারলেন না, এটাই যেন সবচেয়ে হতাশার ছিল ভারতীয় শিবিরে। ক্রিজে নামেন শ্রেয়স আইয়ার। পাঁচটা বল কোনওরকমে সামলে দেন শ্রেয়স। নো বল ডাকায় আরও একটা সামলাতে হয় শ্রেয়সকে। বাউন্ডারি মেরে শ্রেয়সই উইনিং রান আনেন।