তৃতীয় ওয়ান-ডে ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলের কাছে হারল ভারত

ঠিক যেন ওয়ান ডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ম্যাচের মতো। ওয়াংখেড়েতে বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। চোট নিয়েও অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেছিলেন। ভারতীয় বোলারদের কাছেও বাধা হয়ে দাঁড়ান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর শটের বৈচিত্র কারও অজানা নয়। ভারতের দেওয়া ২২৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এমনই অনবদ্য ইনিংস খেলেন ম্যাক্সি। শেষ তিন ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। ম্যাক্সওয়েল বনাম ভারতীয় বোলিং। শেষ অবধি জিতলেন ম্যাক্সিই। শেষ তিন ওভারে একাধিক ভুলের খেসারত দিল ভারত। শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ জিইয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেই ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। তবে তার পরই টি-২০ সিরিজে অজিদের বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে ওঠে সূর্যকুমারের টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দুটি ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার লক্ষ্য পূরণ হল না।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। বড় ব্যাটাররা ভালো বলকে সম্মান দেন। তাঁদের সাফল্যের অন্যতম মন্ত্র সেটাই। গত ম্যাচে বিধ্বংসী হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। আত্মবিশ্বাস ছিল। এ দিন পরিস্থিতি অন্য। বল সুইং হচ্ছিল। ফলে শুরুতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় সেটা পারলেও যশস্বী জয়সওয়াল পারলেন না। তিনে নামা ঈশান কিষাণও ফেরেন দ্রুত। তাতে অবশ্য বড় স্কোর গড়া আটকায়নি। সিরিজের প্রথম দু-ম্যাচের মতোই ২০০ প্লাস স্কোর ভারতের। স্মরণীয় সেঞ্চুরি ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের। তাঁর কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক, প্রথম ভারতীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির রেকর্ড। ১২৩ রানে অপরাজিত থাকেন ঋতুরাজ। যদিও ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হল ঋতুরাজকে।

ভারতের স্লগ ওভার বোলিং স্বস্তির হল না। সঙ্গে বেশ কিছু ভুল। শেষ তিন ওভারে ৪৯ রান প্রয়োজন ছিল অজিদের। ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে পৌঁছয়। ১৮তম ওভারে মাত্র ৬ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। এই ওভারেই ম্যাথিউ ওয়েডের ক্যাচ মিস করেন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। পরের ওভারে বোলিংয়ে অক্ষর প্যাটেল। ম্যাথিউ ওয়েডের বিরুদ্ধে স্টাম্পিংয়ে আবেদন। সে সময়ই দেখা যায়, উইকেট পেরনোর আগেই বল ধরেন কিপার ঈশান কিষাণ। তাঁর ভুলে নো-বল হয়। ফ্রি-হিটে ছয় মারেন অজি অধিনায়ক ওয়েড। কিপিংয়ে হতাশ করেন ঈশান। পরের বলটিই বাই রান। এই ওভারে ওঠে ২৩ রান। ম্যাচ আবারও দু-দলের কাছেই সমান সমান।

শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২১ রান। স্লো ওভার রেটের কারণে শেষ ওভারে ৩০ গজের বাইরে এক ফিল্ডার কম রাখার শাস্তি। বোলিংয়ে আসেন প্রসিধ কৃষ্ণ। বাউন্ডারিতে ওভার শুরু করেন ওয়েড। স্ট্রাইক পেতেই কাজ সহজ করেন ম্যাক্সওয়েল। পঞ্চম বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ম্যাক্সি। শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল। বাউন্ডারিতে ম্যাচ ফিনিশ করেন ম্যাক্সি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =