বাংলাদেশকে হারিয়ে নকআউটের আশা জিইয়ে রাখল ভারত

বাইচুং-পরবর্তী যুগে ভারতীয় ফুটবল দলে এক এবং অদ্বিতীয় কাণ্ডারি সুনীল ছেত্রী। বিপদের মুখ থেকে যিনি দলকে রক্ষা করেন। সুনীল গোল করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। টুর্নামেন্টের নাম শুধু বদলে যায়। এশিয়ান গেমসেও দলের পরিত্রাতায় অবতীর্ণ হলেন সুনীল ছেত্রী। খেলার ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করেন দলনায়ক। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল ভারতের। এই ম্যাচ জেতায় নক আউটের আশা জিইয়ে রাখল ইগর স্টিমাচের দল। এশিয়ান গেমসের দল গড়তে কার্যত হিমসিম খেতে হয় জাতীয় দলের কোচকে। কারণ একাধিক আইএসএলের টিমগুলো ফুটবলারদের ছাড়তে চায়নি। আর সেটাই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দলনায়ক সুনীল ছেত্রীও আইএসএলের দলগুলোর এ হেন আচরণ ভালো চোখে দেখেননি। চিনের কাছে এশিয়ান গেমসের প্রথম ম্যাচেই ১-৫ গোলে হেরে বিধ্বস্ত হয় ব্লু টাইগার্স। বাংলাদেশকে হারানোয় শেষ ষোলোর রাস্তা বাঁচিয়ে রাখলেন সুনীলরা। ভারতের চেয়ে বেশ কয়েক ধাপ পিছনে বাংলাদেশ। তবুও গোল পেতে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ভারতকে। পেনাল্টি থেকেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় স্টিমাচের দল। ম্যাচের পর হতাশা চেপে রাখতে পারলেন না অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও। তিনি বলেন, ‘সত্যিই হতাশাজনক। আমাদের অনেক উন্নতির প্রয়োজন। ফাইনাল পাস, মুভমেন্ট ঠিক করা দরকার। যদিও এই তিন পয়েন্ট অত্যন্ত জরুরি ছিল আমাদের জন্য।’ এশিয়ান গেমস খেলতে আসার আগেই বাবা হয়েছেন সুনীল ছেত্রী। দায়িত্ব এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে দেশের দায়িত্বও সঠিক ভাবে পালন করতে চান তিনি। তাইতো ম্যাচ শেষে বললেন, ‘ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে কথা না বলাই ভালো। চিন ম্যাচের পর আমরা যে কী সমস্যায় পড়েছিলাম, তা আমরাই জানি। তবে বাবা হওয়ার পর অবশ্যই একটা ভালো লাগা কাজ করছে। একই সঙ্গে শান্তিও এসেছে জীবনে। আমার স্ত্রী আর সন্তানকে মিস করছি। কোনও রকম প্রস্তুতি ছাড়াই এশিয়ান গেমসে খেলতে এসেছি। যারা দলের সঙ্গে খেলতে আসেনি, তারা এখন আমাদের থেকে অনেকটাই দূরে আছে। তবে যাই-ই বলি না কেন, তা ম্যাচে প্রভাব ফেলবে না।’ রবিবার মায়ানমারের বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচ ভারতের। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে গেলে জিততেই হবে সুনীলদের। একই সঙ্গে ফ্যাক্টর হতে পারে গোলপার্থক্য। মায়ানমার ম্যাচই এখন ফোকাস ভারতীয় দলের। ক্যাপ্টেন ছেত্রীও বলছেন, ‘আমরা এখন মায়ানমার ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। ৫ দিনের মধ্যে ৩টে ম্যাচ খেলা খুব কঠিন। আমাদের দ্রুত ফিট হতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + eighteen =