‘ভারত শুধু কোনও ভূমির অংশই নয়। বরং এটি আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি, সম্প্রীতি ও সম্ভাবনারও বহিঃপ্রকাশ। এই কারণেই ভারত তার গৌরবময় ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছে। এর পিছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হল আমাদের সমাজের শক্তি, দেশের কোটি কোটি মানুষের শক্তি।’ শনিবার রাজস্থান সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমনটাই বার্তা দিলেন রাজস্থানবাসীদের। একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমরা আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বেশ কয়েকটি সভ্যতা শেষ হয়ে গিয়েছে। ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মতাদর্শগতভাবে ভারতকে ভেঙে ফেলার বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও শক্তিই ভারতকে শেষ করতে পারেনি।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচন কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে। তারই আগে ২০২৩-এ এই প্রথম শনিবার রাজস্থান সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ভগবান দেব নারায়ণের ১১১১ তম জন্মবার্ষিকীতে যোগ দিতেই রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায় মালাসেরিতে পা রাখেন তিনি।এদিকে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল গুজ্জর ভোট। শাসক দল কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিও এই সম্প্রদায়ের ভোট নিজেদের ঘরে আনতে তৎপর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই কারণেই গুজ্জরদের অন্যতম পূজনীয় এই ভগবান দেব নারায়ণ। যাঁর ১১১১ তম জন্মবার্ষিকীতে মালাসেরিতে আসেন তিনি। ফলে এদিনের এই সফর রাস্থান বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিঃসন্দেহে একটা আলাদ মাত্রা দেবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে বিজেপির তরফ থেকে আবার স্পষ্টতই জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে মোদির এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের এর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।
তবে এদিন ভগবান দেব নারায়ণের ১১১১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভিলওয়াড়াতে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তাতে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এক পলক দেখতে ভিড় জমান হাজার জনতা। প্যান্ডেলের বাইরেও ছিল জনস্রোত। এ দিন ভিলওয়ারার মালাসেরি ডুঙ্গি মন্দিরে পুজোও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।