ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম বার খেলার সুযোগ। স্নায়ুর চাপে ভুগতে পারত নেপাল। তাদের প্লেয়াররা অবশ্য প্রশংসনীয় ক্রিকেট খেললেন। পাকিস্তানের মতো এই ম্যাচেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। ম্যাচ সম্পূর্ণ করা গিয়েছে এটাই বিরাট স্বস্তি। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে তিনটি ক্যাচ মিস, পুরো ইনিংসে খারাপ ফিল্ডিং অস্বস্তি তৈরি করেছিল। নেপাল ২৩০ রানে অলআউট হয়। ভারতের কাছে প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ২৩১। রান তাড়ায় প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান। সেটিও ওয়াইডের সৌজন্যে। বৃষ্টির পরই ১০ উইকেটের দাপুটে জয় ভারতের। ভারতীয় ইনিংসের ২.১ ওভারে বৃষ্টির দাপট বাড়ে। খেলা থামাতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। অন্তত ২০ ওভারের ম্যাচের জন্য ১০.২০-এর মধ্যে খেলা শুরু করতে হত। না হলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো নিষ্ফলা থাকত। সে ক্ষেত্রেও সুপার ফোরে জায়গা করে নিত ভারত। যদিও ম্যাচ প্র্যাক্টিস হত না। বিশেষ করে গত ম্যাচে টপ অর্ডার ব্য়র্থ হওয়ায়, অস্বস্তিতে ছিল ভারতীয় শিবির। এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে টপ অর্ডারের রান পাওয়ায় নজর ছিল। বৃষ্টি কমায় মাঠকর্মীরা দ্রুত কাজ শুরু করেন। ১০ টা নাগাদ ফের পরিদর্শনে নামেন আম্পায়াররা। তাঁদের অভিব্যক্তি দেখে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল, মাঠ নিয়ে খুশি। ১০.১৫ নাগাদ খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ২৩ ওভারে ভারতের পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রান। প্রথম পাওয়ার প্লে ৫ ওভার অবধি। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হওয়ায় কিছুটা সতর্ক থাকতে হয়েছিল শুভমন গিল ও রোহিতকে। বিরতির আগে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন শুভমন। পাঁচ ওভার পরই পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ায় ফিল্ডিংও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিছুটা সময় নিয়ে ফের বিধ্বংসী মেজাজে ভারতের ওপেনিং জুটি। রোহিত, শুভমন দু-জনেই চার-ছয়ে রান তোলায় মন দেন। ওয়ান ডে কেরিয়ারে ৪৯তম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত। তাঁর পথে হাফসেঞ্চুরি শুভমন গিলেরও। শেষ অবধি ২০.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্য পূরণ ভারতের। রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল অপরাজিত যথাক্রমে ৭৪ ও ৬৭ বলে অপরাজিত। ১০ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান।