আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বাধা টপকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। স্পিনারদের দাপট। স্টিভ স্মিথ, অ্যালেক্স ক্যারির দুর্দান্ত ইনিংসে ভারতকে ২৬৫ রানের টার্গেট দেয় অজিরা। ভারতের টপ অর্ডার এ দিনও ব্যর্থ। তবে মিডল অর্ডার ফের ভরসা দিল। চেজমাস্টার বিরাট কোহলির সঙ্গে দুর্দান্ত একটা পার্টনারশিপ শ্রেয়স আইয়ারের। শ্রেয়স এবং জয়ের খুব কাছে পৌঁছে বিরাট ফিরলেও দলকে চাপে পড়তে দেননি লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন, ২০১৭ সালে রানার্স, আরও একবার ফাইনাল।
দুবাইয়ের পিচ একেক ম্যাচে একেক রকম আচরণ করেছে। রোহিত শর্মাও সে কথা জানিয়েছিলেন। প্রথম তিন ম্যাচে মন্থর ছিল। তুলনামূলক এ দিনের পিচ ভালো। তবে এই পিচে অস্ট্রেলিয়া ২৭০ পেরোলে চাপ বাড়ত। পিচ ভালো হলেও স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছিলেন। তেমনই মিডিয়াম পেসারদের বলে শট খেলাও চাপ। বিরাট কোহলি-শ্রেয়স আইয়ার মিডল ওভারে প্রচুর সিঙ্গল, স্ট্রাইক রোটেট করে ভিত গড়ে দেন।
শেষ দিকে অবশ্য চাপ বাড়ে। ২৪ বলে ২৭ রানের টার্গেট দাঁড়ায়। একটা সময় অবধি মনে হচ্ছিল, ভারতের জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বিরাট কোহলি ফিরতেই ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে সাময়িক অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। অ্যাডাম জাম্পার বোলিংয়ে হার্দিক পান্ডিয়া পর পর দুটো ছয় মারতেই গ্যালারিতে সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায়। শেষ তিন ওভারে ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ১২ রান। তখন অনেকটাই চিন্তা মুক্ত।
শর্ট পিচ ডেলিভারিতে ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে অজি পেসার নাথান এলিস। ফাঁদে পা দেননি রাহুল-হার্দিক। স্ট্রেট ব্যাটে খেলারই চেষ্টা করছিলেন। হার্দিক আরও একটা বাউন্ডারি মারতেই ক্রমশ জয়ের দিকে ভারত। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়াও শেষ মুহূর্তে আউট। লোকেশ রাহুল ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন। শেষ অবধি ১১ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয় এবং ফাইনাল নিশ্চিত। টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত।