এক যুগ পর ফাইনালে ভারত, শামির ৭ উইকেট, শ্রেয়স, বিরাটের সেঞ্চুরি

১২ বছর পর আবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ারের শতরান এবং মহম্মদ শামির সাত উইকেটে ভর করে নিউ জিল্যান্ডকে হারাল ভারত। রবিবার ফাইনাল আমদাবাদে।

রুদ্ধশ্বাস কিছু মুহূর্ত। টানটান উত্তেজনা। সমানে-সমানে লড়াই। সব পেরিয়ে অবশেষে স্বস্তি। ১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। ১২ বছর আগে যে মাঠে ট্রফি জিতেছিল ভারত, সেখানেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে রোহিত শর্মার দল পাড়ি দিচ্ছে আমদাবাদে। আগামী রবিবার প্রতিপক্ষ কারা, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ২৪ ঘণ্টা।

এক যুগ পর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। এক যুগ পর ফাইনালে ভারত। স্নায়ুর চাপ সামলে অবশেষে জয়। বোর্ডে ৩৯৭ রান! তারপরও দুর্দান্ত লড়াই নিউজিল্যান্ডের। বেশ কয়েক বার ভয়ের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের। আসলে যে আগ্রাসী ক্রিকেট ভারত খেলে আসছে এবং সেমিফাইনালেও খেলেছে, একই পথে হাঁটল নিউজিল্যান্ডও। তাদের বিধ্বংসী ক্রিকেটের জবাব হয়ে উঠলেন মহম্মদ শামি। সেকেন্ড স্পেল শুরু করেন জোড়া উইকেট। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠলেন কুলদীপ যাদবও। ৭০ রানের জয়ে ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া।

আগে ব্যাট করে ভারত ৩৯৭ রান তোলার পর ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে কোণায় কোণায় উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেমিফাইনালের মতো মহা চাপের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড ৩৯৮ রান করে ভারতকে হারিয়ে দেবে এটা অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি। কিন্তু ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা বলেই কিউয়িদের ইনিংসের অন্তত ৪৩ ওভার পর্যন্ত গড়াল। ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে জুটি গড়া কেন উইলিয়ামসন ফিরে গেলেও ততক্ষণে গ্লেন ফিলিপস বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠানো শুরু করে দিয়েছেন। যশপ্রীত বুমরার বলে তুলে খেলতে গিয়ে বাউন্ডারির ধারে রবীন্দ্র জাডেজা তুলে নেওয়ার পরেই আবার ওয়াংখেড়েতে উৎসব শুরু। মাঝের দুটো ঘণ্টা যেন উৎকণ্ঠার প্রহর গিয়েছে ৩৩ হাজার দর্শকদের মধ্যে।

কাকে ছেড়ে কাকে নায়ক বাছা যায় এই ম্যাচে। সেরার পুরস্কার হয়তো পাবেন একজনই। কিন্তু অন্তত তিনজনকে সেই পুরস্কার ভাগ করে দেওয়া গেলে তবেই হয়তো যোগ্য বিচার হত। বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার না থাকলে ভারতের রান ৩৯৭ ওঠে না। সে ক্ষেত্রে এই ম্যাচ নিউ জিল্যান্ডের জিতে যাওয়ার কথা। আবার মহম্মদ শামি না থাকলে কোহলি, শ্রেয়সের কৃতিত্বও দাম পায় না। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ছ’টি উইকেট নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × one =