পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। গত ম্যাচে আরব আমির শাহির বিরুদ্ধে ৭৮ রানে জয়। সেমিফাইনালে এক পা ফেলে রেখেছিল ভারত। জয়ের হ্যাটট্রিকে শীর্ষে থেকেই শেষ চারে স্মৃতি মান্ধানারা। শেফালি ভার্মার বিধ্বংসী ইনিংস। বোলারদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। নেপালকে ৮২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল ভারত। মেয়েদের এশিয়া কাপে ভারত সবচেয়ে সফল দল। গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে এ বার লক্ষ্য অষ্টম ট্রফি। নেপালের বিরুদ্ধে বিশাল জয়ের মাঝে কিছুটা আক্ষেপ, অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস ওপেনার শেফালি ভার্মার।
প্রথম দু-ম্যাচের পরই সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নেপালের বিরুদ্ধে নতুনদের বেশি করে সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ভারতের। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এই ম্যাচে খেলেননি। নেতৃত্ব দেন স্মৃতি মান্ধানা। টসও জেতেন স্মৃতি। ব্যাটিং নিলেও নিজে ওপেন করেননি। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। ফলে রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করাটাও অন্যতম লক্ষ্য। শেফালি ভার্মার সঙ্গে ওপেন করেন দয়ালান হেমলতা। ১২২ রানের ওপেনিং জুটি শেফালি-হেমলতার। প্রথম উইকেট হিসেবে আউট হন হেমলতাই। ৪২ বলে ৪৭ রানে মূলত ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন।
মেয়েদের এশিয়া কাপে একমাত্র সেঞ্চুরি এসেছেন দু-দিন আগেই। শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু ইতিহাস গড়েছেন। আজ হয়তো দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ন পাওয়া যেত। বিধ্বংসী ব্যাটিং করছিলেন শেফালি ভার্মা। নেপালের বাঁ হাতি স্পিনার শর্ট লেন্থে বোলিং করেন। অফ স্টাম্পের বেশ কিছুটা বাইরে। শেফালি স্টেপ আউট করেছিলেন। বড় শট খেলার চেষ্টা করলেও বলের লাইন মিস। স্টাম্পিং মিস করেননি নেপালের কিপার। ৪৮ বলে ৮১ রানে ফেরেন শেফালি। তিনি আউট হন ইনিংসের ১৬তম ওভারে। ফলে সেঞ্চুরির দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। এক ডজন বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মারেন শেফালি। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৮ রান করে ভারত।
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিয়ে দ্রুত ম্যাচ শেষ করাই টার্গেট ছিল ভারতীয় বোলারদের। যদিও নেপালকে অলআউট করতে পারেনি ভারত। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৬ রান করে নেপাল। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে অভিজ্ঞ অফস্পিনার দীপ্তি শর্মা মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অরুন্ধতী রেড্ডি ও রাধা যাদব।