ইউরোপের চার দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য নীতি স্বাক্ষর ভারতের

ইউরোপের পাঁচ দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য নীতি স্বাক্ষর করল ভারত। এর ফলে দেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ আসবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, ওই চুক্তি নিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে আলোচনা হয়েছে। পাঁচ দেশের মধ্যে ওই চুক্তির ফলে ভারতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে পারে। বেশ কয়েকটি শিল্প ক্ষেত্রে উন্নতি দেখা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ইএফটিএ-র সঙ্গে ভারতের এই চুক্তি, ডিজিটাল লেনদেন, ব্যাংকিং এবং আর্থিক পরিষেবা এবং ফার্মার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতার নয়া সম্পর্ক তৈরি করবে। এই চুক্তির ফলে, ভারত-সহ সবকটি অংশীদার দেশেরই জয় হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে, ভারতের অর্থনীতির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটেছে। বিশ্বের একাদশতম বৃহৎ অর্থনীতি থেকে, আজ ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।

রবিবার ইউরোপের সুইৎজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিচেনস্টাইনের সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির লক্ষ্য ভারত-সহ ওই চার দেশের মধ্যে ব্যবসা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। পীযূষের কথায়, ‘ভারতের গণতন্ত্র, দাবি ও বৈচিত্র্যকে মাথায় রেখে এই চুক্তি করা হয়েছে। এটি কার্যকর করে আগামী ১৫ বছরে ১০ লাখ মানুষের চাকরি হবে।’  তিনি জানান, আগামিদিনে তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো ক্ষেত্রগুলিতে অনেক উন্নতি হবে।

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে, মরিশাস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। এদিন সেই তালিকার যুক্ত হল ইএফটিএ গোষ্ঠীও। এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলি হল, আইসল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড। একত্রিতভাবে, এই বাণিজ্য চুক্তি ৯৪টি দেশের সঙ্গে ভারতের অগ্রাধিকারমূলক সম্পর্ক নিশ্চিত করবে। অর্থাৎ, বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতকেই অগ্রাধিকার দেবে দেশগুলি। এছাড়া, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, জাপান এবং আশিয়ান গোষ্ঠীর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে ভারত। এছাড়াও, আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কথা চলছে নয়া দিল্লির। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, ওমান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, পেরু এবং ইজরায়েল। এই আলোচনাগুলি শেষ হলে, ১২০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে এই ধরণের অগ্রাধিকারমূলক সম্পর্ক তৈরি হবে ভারতের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 18 =