স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল আগে থেকেই। এ বার সরকারি সিলমোহর পড়ল। ২০৩৬ সালে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক আয়োজন করতে চায় ভারত। সেই ইচ্ছে প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ফিউচার হোস্ট কমিটিকে চিঠি পাঠাল ভারত। এক কর্তা বলেও দিয়েছেন, ‘এই সুযোগ যদি কাজে লাগানো যায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে অনেকটাই। সেই সঙ্গে যুব সমাজের উত্থানও হবে।’ যদি অলিম্পিক আয়োজন করার সুযোগ মেলে, ভারতের মতো দেশের রেখচিত্রই পাল্টে যাবে।
২০২৮ সালের অলিম্পিকের আয়োজক লস অ্যাঞ্জেলস। পরের গেমস অর্থাৎ, ২০৩২ সালে অলিম্পিক হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজন করার ব্যাপারে অনেক দেশই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অলিম্পিক আয়োজন করার ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। অলিম্পিকের আয়োজক হতে পারলে ভারতের ক্রীড়া ভবিষ্যৎও পাল্টে যাবে। প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলিটদের কাছে এ নিয়ে মতামতও নিয়েছেন মোদী। দেশের ক্রীড়মহল এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত। মোদী বলেওছেন, ‘২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজন করার জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত। দেশের হয়ে যাঁরা অলিম্পিকে নেমেছে, তাদের মতামত খুব গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাথলিটরা নিশ্চিত ভাবেই অনেক কিছু দেখেছে। সেটা আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরতে চাই। যাতে ২০৩৬ সালের অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি আমরা। অলিম্পিক ভারতের ১৪০ কোটি জনগণের বহুদিনের স্বপ্ন।’
মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, পোল্যান্ড, ইজিপ্ট, দক্ষিণ কোরিয়া সহ মোট ৯টা দেশ ভারতের প্রতিপক্ষ। তাদের টপকে কি স্বপ্নপূরণ হবে ভারতের? সম্ভাবনা আছে। প্যারিসে অলিম্পিক হওয়া মানে, ইউরোপের দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সে ভাবে থাকছে না। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতেও হয়ে যাচ্ছে আগামী দুটো অলিম্পিক। এশিয়াতেই আবার অলিম্পিক ফিরবে, এমনই মনে করা হচ্ছে। সে দিক থেকে ভারতের দাবিই সবচেয়ে জোরালো।