মণিপুর নিয়ে মোদির বিবৃতি চেয়ে ‘ইন্ডিয়া’র ধর্না সংসদ চত্বরে!

বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেই বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ সাংসদ এবং বিজেপি সাংসদদের বিক্ষোভে সরগরম হয়ে উঠল সংসদ চত্বর। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি চেয়ে সংসদের বাইরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন বিরোধী সাংসদেরা। রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সংসদ চত্বরে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদদের একাংশও। ফলে রাজ্যসভা এবং লোকসভা শুরু হওয়ার আগেই স্লোগান এবং পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ চত্বর।

সোমবার মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে সংসদের দুই কক্ষেই নোটিস দেন বিরোধীরা। রাজ্যসভার বিধি অনুসারে ২৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদে এই নিয়ে আলোচনার আর্জি জানান সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।  তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বাদানুবাদের পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। লোকসভা চললেও সেখানে মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদেরা।

সম্প্রতি ২৬টি বিরোধী দল ‘ইন্ডিয়া’ নামের মঞ্চে একত্রিত হয়। তাই বিরোধী সাংসদদের ধর্নায় দেখতে পাওয়া পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, ‘ইন্ডিয়া মণিপুরে সুবিচার চায়’। রাজ্যে একে অপরের বিরোধী হলেও বিরোধীদের ধর্নায় দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও। মোদি সরকারের সমালোচনা করে অভিষেক বলেন, ‘মণিপুর যদি এতই শান্ত হবে, তবে সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে হয়েছে কেন? বাংলা আর মণিপুরের পরিস্থিতি যদি একই হবে, তবে তো বাংলাতেও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কথা।’ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে অধীরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদের বাইরে মুখ খুলেছেন। কিন্তু এটা কোনও রেওয়াজ নয়। উনি সংসদের ভিতরে মণিপুর নিয়ে মুখ খুলুন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − seven =