ইংল্য়ান্ডের কাছে ক্লিন সুইপ আটকাল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে দুরন্ত জয় হরমনপ্রীতদের। সাময়িক চাপে পড়লেও শেষ অবধি ৫ উইকেটের প্রশংসনীয় জয়। প্রথম দু-ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। ফলে জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করাটা ভারতকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সামনেই ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও টেস্ট রয়েছে। সিরিজ হারলেও ভারতের প্রাপ্তি দুই নতুন প্লেয়ারের পারফরম্যান্স।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্য়াচে ভারতকে ডুবিয়েছিল ফিল্ডিং ও বোলিং। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়। সিরিজও হাতছাড়া হয়। শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অল্প রানের পুঁজি নিয়েও বোলাররা মরিয়া চেষ্টা করেছিল। বোর্ডে মাত্র ৮০ রান নিয়ে ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের ৬ উইকেট ফেলে দেওয়া, পাল্টা চাপ তৈরি করা প্রশংসনীয়। যদিও ম্যাচের ফলে তার প্রভাব পড়েনি। শেষ ম্যাচে প্রত্যাবর্তনেই লক্ষ্য ছিল।
একদিনের ব্য়বধানে ম্য়াচ। ওয়াংখেড়েতে এ দিন পূজা বস্ত্রকারের বিরুদ্ধে খেলানো হয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার অমনজ্যোত কৌরকে। সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ হল। ভারতের জয়ে প্রধান ভূমিকা নিলেন বাংলার বাঁ হাতি স্পিনার সাইকা ইসাক ও আরসিবিতে নজরকাড়া শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। দু-জনেরই অভিষেক সিরিজ। প্রথম ম্য়াচে স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন। সিরিজ যত এগিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তৃতীয় ম্যাচে দু-জনের ঝুলিতেই তিনটি করে উইকেট।
রেনুকা সিংয়ের প্রাথমিক ধাক্কা এবং শ্রেয়াঙ্কা-সাইকার সৌজন্যে ৭৬ রানের মধ্যেই ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট নেয় ভারত। হেদার নাইট ও চার্লি ডিন হাফসেঞ্চুরির জুটি না গড়লে একশো রানের মধ্যেই অলআউট করা যেত ইংল্যান্ডকে। শেষ অবধি ইংল্য়ান্ডকে ১২৬ রানে অলআউট করে ভারত। রান তাড়ায় অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস স্মৃতি মান্ধানার। এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ী ভারত।