মহাকাশে ইতিহাস সৃষ্টি করল ভারত। চন্দ্রপৃষ্ঠের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরু এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কাছে অনাবিষ্কৃত ছিল। পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে পৌঁছতে পারে নি। ভারতের পাখির চোখ ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠের সেই অনাবিষ্কৃত ‘কুমেরু’ই। তৈরি হল ইতিহাস। চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানো দেশের তালিকায় চতুর্থ হিসাবে নাম লেখাল ভারত (আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরেই)। আর চাঁদের দক্ষিণ মেরু আবিষ্কারের কৃতিত্বও পেল ইসরো।
ইতিহাসের সাক্ষী থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চাঁদে বিক্রম পা রাখার পর জাতীয় পতাকা নাড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা বার্তাও দিলেন তিনি।
১৪ জুলাই ঠিক দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট। ইতিহাস গড়ার পথে প্রথম পা বাড়িয়েছিল চন্দ্রযান-৩। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে চাঁদের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এই মহাকাশযান। দিন রাত এক করে, খাওয়া-নাওয়া-ঘুম ত্যাগ করে একে একে ৪০ দিন কাটিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। নজর রাখেছিলেন চন্দ্রযান-৩-এর গতিবিধির উপর। অপেক্ষায় ছিলেন আপামর দেশবাসী। ইতিহাস তৈরির মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকবেন বলে। অবশেষে অবসান হল সেই অপেক্ষার। ভাসতে ভাসতে ‘চাঁদের বাড়ি’ পৌঁছল ল্যান্ডার বিক্রম। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে জানান দিল ভারতীয় বিজ্ঞানের অগ্রগতির বিশাল অস্তিত্ব।