সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। কিন্তু প্রথম ম্যাচে অস্বস্তিও ছিল। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে রেড কার্ড দেখানো হয় ভারতের হেড কোচ ইগর স্টিমাচকে। নেপালের বিরুদ্ধে টেকনিকাল এরিয়ায় থাকতে পারেননি তিনি। কুয়েতের বিরুদ্ধে বেঞ্চে ফিরেছিলেন হেড কোচ ইগর স্টিমাচ। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে চাপ বাড়ল ভারতীয় শিবিরে। এদিন ফের জোড়া হলুদ কার্ড তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় হেড কোচ ইগর স্টিমাচকে। সেমিফাইনালে তিনি থাকতে পারবেন না। ভারত ফাইনালে উঠলে হেড কোচ বেঞ্চে থাকতে পারবেন কীনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। গ্রুপ এ-তে থেকে প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল ভারত ও কুয়েত। ভারতের চেয়ে গোল বেশি করায় পয়েন্ট টেবলে কুয়েত শীর্ষস্থানে ছিল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতের কাছে সুযোগ ছিল গ্রুপের শেষ ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকে সেমিতে যাওয়া। অল্পের জন্য সেই প্রত্যাশা পূরণ হল না। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় ভারত। যদিও জিকসন সিং, সাহাল আব্দুল সামাদরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। গোলের জন্য ভরসা করতে হল সেই অধিনায়কের ওপরই। প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে অনিরুদ্ধ থাপার কর্নার থেকে সাইড ভলিতে অনবদ্য গোল করেন সুনীল ছেত্রী। কুয়েতের বিরুদ্ধে নামার আগে এক ডজন ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছিল ভারত। কুয়েতের বিরুদ্ধেও ক্লিনশিট রাখাই লক্ষ্য ছিল। সুনীল ছেত্রী গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন। রক্ষণ ভাগও ক্লিনশিট রাখার দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচের অ্যাডেড টাইমে আত্মঘাতী গোলেই ক্লিনশিট রাখা হল না। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। ড্র করে হতাশ ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। প্রতিপক্ষ প্লেয়ারদের সঙ্গে ঝামেলায় হলুদ কার্ড দেখানো হয় ইগর স্টিমাচকে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার হলুদ কার্ড তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় হেড কোচ ইগর স্টিমাচকে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মহূর্তে প্রতিপক্ষ প্লেয়ারকে ধাক্কা রহিম আলির। ভারতের এই তরুণ স্ট্রাইকার রহিম আলি এবং হামাদ আল খালাপ দু-জনকেই রেড কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বলেন, ‘ভালো খেলেও শেষটা দেখে মনে হল হেরে গেলাম। যেভাবে খেলছিলাম, জেতা উচিত ছিল। তবে দুটো দলই সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করেছিল। ড্র হওয়াটাও খারাপ নয়।’