আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতা। ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষে কোণঠাসা রোহিতরা। ৩০১ রানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে কিউয়িরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান ১৯৮। ক্রিজে রয়েছেন টম ব্লান্ডেল (৩০) এবং গ্লেন ফিলিপস (৯)। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতায় মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ঘুরে গেল ম্যাচ। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে চাপে রোহিতরা। অথচ প্রথম দিনের শেষে সুবিধাজনক জায়গায় ছিল ভারত। ২৫৯ রানে শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ৭ উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৩ উইকেট রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। প্রথম দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ছিল ১৬। হাতে ছিল ৯ উইকেট। কিন্তু মাত্র ১০৭ রানে ৯ উইকেট হারায় ভারত। একটা সময় এক উইকেটের বিনিময়ে ৫০ রান ছিল। সেখান থেকে ১৫৬ রানে অলআউট। স্পিন ভাল খেলার জন্য সুনাম রয়েছে ভারতীয় ব্যাটারদের। কিন্তু এদিক হিতে বিপরীত। কিউয়ি স্পিনারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ভারতের।
যশস্বী জয়েসওয়াল (৩০), শুভমন গিল (৩০), রবীন্দ্র জাদেজা (৩৮) শুরুটা ভাল করলেও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেনি। ব্যর্থ বিরাট কোহলিও। মাত্র ১ রানে স্যান্টনারের বলে বোল্ড হন। ফুলটস বলের লাইন মিস করেন বিরাট। যা তাঁর মাপের ব্যাটারের কাছে আশ্চর্যের।বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ঋষভ পন্থ, সরফরাজ খানের জুটিতে ম্যাচে ফিরেছিল ভারত। এদিন রান পায়নি দু’জনেই। অতি সাধারণ শট খেলতে গিয়ে আউট হন পন্থ। লোয়ার অর্ডারও ব্যর্থ। ৭ উইকেট নেন স্যান্টনার। জোড়া উইকেট ফিলিপসের। মধ্যাহ্নভোজের আগেই সাত উইকেট হারায় ভারত। লাঞ্চের কিছুক্ষণের মধ্যেই অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসের শেষে ১০৩ রানে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একদিকে পরপর উইকেট হারালেও, একটা দিক ধরে রাখেন টম লাথাম। বেঙ্গালুরুর পর পুনে টেস্টের প্রথম ইনিংসে রান পাননি কিউয়ি নেতা। কিন্তু দলের প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠলেন। তবে শতরান হাতছাড়া হয়। ১৩৩ বলে ৮৬ রান করে আউট হন লাথাম। রান পায়নি বাকিরা। প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করা ডেভন কনওয়ে (১৭) এবং রচিন রবীন্দ্র (৯) ব্যর্থ। টম ব্লান্ডেলকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন লাথাম। পরিস্থিতি যা, তৃতীয় দিন প্রথম সেশনের মধ্যেই কিউয়িদের ইনিংস শেষ করে দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে ৩৫০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখার। তাহলে একটা সুযোগ থাকবে ভারতের। তবে তার জন্য ভাল ব্যাট করতে হবে ভারতকে। নয়তো ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হার অবধারিত।