মাঠে নামার আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল ভারতের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার ১২ পর্বের শেষ ম্যাচ। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সে কারণেই ভারতকে নিয়ে যেন একটু চিন্তার জায়গা ছিল। কেন এমন! প্রশ্ন উঠতেই পারে, নিয়মরক্ষার ম্যাচে চিন্তা কিসের। এই সব ম্যাচেই আত্মতুষ্টি ভর করে। সেমিফাইনালের আগে যা অস্বস্তির হতে পারে। ভারত অবশ্য জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দাপট রেখেই ৭১ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতল। গ্রুপ ২-এর পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে থেকেই সেমিফাইনালে ভারত। শেষ চারে ভারতের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিধ্বস্ত হয়ে আরব আমিরশাহী থেকে ফিরে আসতে হয়। চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারানোর পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ছাড়া মোটের উপর ভালই পারফরম্যান্স করে ভারত। তারপর থেকে লাগাতার ম্যাচ জিতে নিয়ে শেষ চারে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলে মেন ইন ব্লু। নিয়মরক্ষার ম্যাচেও দাপট দেখিয়ে জয় পেল ভারত।
বিশ্বকাপের সুপার ১২ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল ভারত ও জিম্বাবোয়ে। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে অবশ্য এদিনও ব্যর্থ হন ভারতচ অধিনায়ক। ১৩ বলে মাত্র ১৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। আগের ম্যাচে রান পেয়েছিলেন কে এল রাহুল। এদিনও ঝকঝকে হাফ সেঞ্চুরি করেন ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক। বিরাট কোহলির সঙ্গে ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রাহুল।
তবে রবিবারের ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের নায়ক সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় ইনিংসের দশ ওভারের পর লাগাতার বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নেন জিম্বাবোয়ের বোলাররা। ভারতের রানের গতি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেন সিকান্দার রাজারা। খানিকটা চাপের মুখেই পালটা মার শুরু করেন সূর্য। মাত্র ২৫ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের হাল ধরেন। তাঁর দাপটেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তোলে ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। দ্বিতীয় ওভারে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং। উইকেট নেওয়ার তালিকায় যোগ হয় মহম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়ার নামও। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকার ফলে একেবারেই পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি জিম্বাবোয়ে ব্যাটাররা। তিন উইকেট তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবোয়ে।