শ্রীলঙ্কার সামনে ছিল জোড়া লক্ষ্য ছিল। ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখা। দ্বিতীয়ত, টানা জয়ের রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ওডিআই ক্রিকেটে টানা ১৩টি জয়ের রেকর্ড গড়েছে সেই ম্যাচেই। টানা তিন দিন ম্যাচ। ভারতের কাছে কাজটা সহজ ছিল না। শ্রীলঙ্কা তরতাজা হয়েই নেমেছিল। ব্যাটিং হোক বা বোলিং, শ্রীলঙ্কার ‘কুড়ির’ দাপট সামলাতে হিমসিম ভারত। অবশেষে কাঙ্খিত জয়। শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত। রোহিতদের জয়ে ছিটকে গেল বাংলাদেশ। তেমনই শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি হয়ে দাঁড়াল ‘সেমিফাইনাল’। ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচ গড়িয়েছিল রিজার্ভ ডে-তে। রোহিত-শুভমনের হাফসেঞ্চুরি এবং বিরাট-রাহুলের সেঞ্চুরি, কুলদীপ যাদবের পাঁচ উইকেটে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। নেট রানরেটে অনেক এগিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় মানেই ফাইনাল নিশ্চিত ছিল। কিন্তু টানা তিন দিন ম্যাচ খেলতে হওয়ায় বারবার খেই হারাল ভারত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একাদশে একটিই পরিবর্তন। শার্দূল ঠাকুরের পরিবর্তে অক্ষর প্যাটেল। পিচ থেকে স্পিনাররা সুবিধা পাবে, সেটা যেন প্রত্যাশিতই ছিল ভারতীয় শিবিরে। মানসিক ভাবে কি স্পিন খেলার জন্য তৈরি ছিলেন না ব্যাটাররা? শ্রীলঙ্কা বোলিং লাইন আপে মহেশ থিকসানার মতো স্পিনার রয়েছেন। আইপিএলে খেলেন। তাঁর সম্পর্কে সবই কার্যত জানা। সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল দুনিথ ওয়েলালাগে। মাত্র ২০ বছর বয়সি এই বাঁ হাতি স্পিনার রোহিত, বিরাট, শুভমনকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরিয়ে ভারতকে প্রবল চাপে ফেলেন। সব মিলিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট। ৪৯.১ ওভারে ভারতের ইনিংস শেষ ২১৩ রানেই। অল্প রানের লক্ষ্য হলেও এই পিচে ব্যাটারদের কাজটা খুবই কঠিন ছিল। বড় শট খেলা কঠিন। যতটা সম্ভব সিঙ্গল-ডাবল নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে হত। জসপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজের ওপেনিং স্পেল শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলে। শ্রীলঙ্কা শিবিরে ভরসা হয়ে ওঠে দুটো পার্টনারশিপ। ভারতীয় শিবিরকে প্রবল চাপে ফেলেন সেই বাঁ হাতি স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগে। বল ও রানের পার্থক্য বেশি ছিল না। বল হাতে কামাল দেখানো ওয়েলালাগে ব্যাট হাতেও ভারতীয় শিবিরে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ালেন। দুনিথকে ফেরাতে পারেনি ভারত। কোটার শেষ ওভারে কুলদীপ যাদব জোড়া উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ইতি টানেন কুলদীপ যাদব। দুনিথ অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটের পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ উইকেট। ভারতের জয়ের অন্যতম নায়ক কুলদীপই। অনবদ্য বোলিং করেন হার্দিক পান্ডিয়াও। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে দুটো দিন সময় পাচ্ছে ভারত। এটাই যেন বড় স্বস্তি।