কখনও ডান প্রান্ত দিয়ে, আবার কখনও বাঁ প্রান্ত। এই তো সুযোগ, কিন্তু…। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে লেবাননকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। শুধু তাই নয়, গত ১৩ ম্যাচের মধ্যে ১১টিতেই জয়। প্রত্যাশার পারদ বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। ১৬ দিনের মধ্যে তৃতীয় বার মুখোমুখি ভারত-লেবানন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ অতি চেনা হলেও, চ্যালেঞ্জ সামলাতে হল কয়েকগুন বেশি। প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়েছে কুয়েত। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত-লেবানন ম্যাচের ফয়সালা হল টাইব্রেকারে। মাঠে নামার আগেই অবশ্য বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল ভারত। কার্ড সমস্যায় পাওয়া যায়নি সন্দেশ ঝিংগানকে। দলের তরুণ স্ট্রাইকার রহিম আলিও গত ম্যাচে লাল-কার্ড দেখেছিলেন। কোচ ইগর স্টিমাচ দু-ম্যাচের জন্য নির্বাসিত। গ্যালারিতে থেকেই দলের পারফরম্যান্স দেখতে হল। ভরসা সেই সুনীল ছেত্রী। আনোয়ার ও মেহতাব সিং সেন্ট্রাল ডিফেন্সে। দুই সাইড ব্যাক সুভাশিস বসু ও প্রীতম কোটাল। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই লেবাননের সুযোগ। বক্সের সামনে আনমার্কড নাদায়ের মাতাহার শট মারেন ক্রসবারের ওপরে। নয়তো শুরুতেই বড় ধাক্কা খেত ভারতীয় শিবির। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে ভারত। ভরসা সেই সুনীল ছেত্রী। তিনি যতবার আক্রমণে উঠছেন, গ্যালারির গর্জন বাড়ছে। কিন্তু সেলিব্রেশনের মুহূর্ত আসছিল না। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়াচ্ছে দেখে গোলকিপার পরিবর্তন করে লেবানন। অভিজ্ঞ আলি সাবাকে নামানো হয়। ১২০ মিনিট কিংবা সংযুক্তি সময়েও গোলের খাতা খুলল না। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানো মানেই লটারি। ভারতের গোলে বহু যুদ্ধের নায়ক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। টাইব্রেকারে প্রথম শট নেয় ভারত। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর শট গোলে। লেবাননের প্রথম শট আটকে দেন গুরপ্রীত। ভারতের দ্বিতীয় শট নেন আনোয়ার আলি। তিনিও গোল করেন। ভারত অ্যাডভান্টেজে যায়। লেবানন দ্বিতীয় শটে গোল করে। প্রথম দুটি শটের পর ভারত ২-১ এগিয়ে থাকে। ভারতের হয়ে তৃতীয় শট নাওরেম মহেশের। তিনিও গোল করেন। তবে লেবাননও তৃতীয় শটে গোল করে। ভারতের হয়ে চতুর্থ শট উদান্ত সিংয়ের। এবং হতাশ করেননি উদান্ত। পরের শটে খলিল বদান্ত বল ক্রসবারের ওপরে মারতেই ভারতের ফাইনাল নিশ্চিত। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে কুয়েতের সামনে ভারত। গ্যালারিতে তখন বন্দে মাতরম ধ্বনি আরও জোরালো।