ইন্দোনেশিয়াকে ১৬-০ গোলে হারিয়ে এশিয়া কাপ হকির নকআউটে ভারত

এশিয়া কাপের নক আউট পর্বে পৌঁছল ভারত। নক আউট পর্বে পৌঁছনোর জন্য ইন্দোনেশিয়াকে বড় ব্যবধানে হারানোর দরকার ছিল ভারতের। বড় ব্যবধান বলতে পনেরো গোলের ব্যবধান। এক কথায় তা অসম্ভব। কিন্তু অসাধ্য সাধন করে দেখিয়ে দিল ভারতীয় হকি দল। ইন্দোনেশিয়াকে ০-১৬ গোলে হারিয়ে এশিয়া কাপের নকআউটে (সুপার ফোর) চলে গেল ভারত। প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল হজম করল।

হাফটাইমে ৬-০ গোলে এগিয়ে ছিল ভারত। বিরতির পরে আরও ন’টি গোল দিতে হবে, এই চাপ ছিল ভারতের উপরে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের বন্যা বইয়ে দিলেন ভারতের হকি তারকারা। আরও দশটি গোল দিয়ে সুপার ফোরের ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলল ভারত। ডিপসান টিরকে হ্যাটট্রিক সহ পাঁচটি গোল করেন। হ্যাটট্রিক করেন সুদেব বেলিমাজ্ঞা। একটি গোল করেন সেলভাম কার্থি। গোল পেয়েছেন পবন রাজভার। হ্যাটট্রিক করেছেন তিনিও। ভারতের হয়ে প্রথম গোল তাঁরই। এস ভি সুনীলও দু’টি গোল করেন। নীলম সঞ্জীপ একটি গোল পেয়েছেন। উত্তম সিংও করেছেন একটি গোল।

এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়েছিল। জাপানের কাছে ভারত আবার হেরে যায় ৫-২ গোলে। অন্যদিকে পাকিস্তান আবার ২-৩ গোলে হেরে যায় জাপানের কাছে। ফলে নক আউট পর্বে পৌঁছতে হলে ভারতকে শুধু ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেই চলত না। ম্যাচটা জিততে হতো বড় ব্যবধানে। ভারত নামল এবং জিতে নিল।

ইন্দোনেশিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ায় পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে পুল এ-তে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে ভারত। গ্রুপ থেকে জাপান ও ভারত গেল নকআউটে। ছিটকে গেল পাকিস্তান। খেলার শেষে ভারতের কোচ সর্দার সিংয়ের মুখে চওড়া হাসি। ম্যাচের আগে ভারতীয় কোচ সর্দার সিং বলেছেন, ”আগের ম্যাচগুলিতে আমরা একটু অলস ছিলাম। আমরা খুব ভাগ্যবান যে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি।” সেই সুযোগ পুরোমাত্রায় কাজে লাগালেন ভারতের হকি খেলোয়াড়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − fifteen =