ভারত যে হংকং কে হারাবে সেটা বোঝার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার ছিল না। কিন্তু দলটা এতটা লড়াই করবে ভাবতে পারেননি কেউ। যদিও অতীতে হংকং আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশকে হারিয়েছিল। তাই তাদের লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে এটা জানত ভারত। নিজেকত খান এবং মুরতাজা অল্প রান করে ফিরে যান। কিন্তু এরপর ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে দেন বাবর হায়াত। পাকিস্তানে জন্মানো এই ক্রিকেটার ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে পাওয়ার প্লে তে ৫০ তুলে ফেললেন স্কোরবোর্ডে। ৪১ রান করে জাদেজার বলে আউট হন তিনি। এরপর বাকিরা লড়াই করলেও শেষ হাসি হাসল ভারত। তবে রহিত শর্মা জানিয়ে গেলে ভারতীয় বোলারদের আরো উন্নতি করতে হবে।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার্দিক পান্ডিয়ার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে যতটা কথা হয়েছিল, বিরাট কোহলির ৩৫ রান নিয়ে ততটা হয়নি। কিন্তু প্রথম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বিরাটের ওই ইনিংস ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলেন ফর্মে ফিরে আসছেন বিরাট। বোর্ড প্রেসিডেন্ট এর চোখ ভুল কথা বলেনি তার প্রমান পাওয়া গেল আজকে।
দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল হংকং। ধারে ভারে ভারতের সঙ্গে তুলনা না হলেও, আজকের উইকেট ছিল খুব স্লো। বল পড়ে ব্যাটে আসতে চাইছিল না। রোহিত শর্মা, রাহুলদের বেশ অসুবিধের মধ্যে পড়তে হল। কিন্তু বিরাট আজ শুরু থেকেই যেন রান করার মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন। প্রথম দিকে একটু সময় নিলেন। তারপর নিজের স্বাভাবিক খেলা শুরু করলেন। যেমন খুচরো রান নিলেন, তেমনই লুজ বল পেলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন। ছক্কাও মারলেন।
তাকে সহায়তা করলেন সূর্য কুমার। হংকংয়ের অনামী বোলাররা দুর্দান্ত লাইন এবং লেংথ বল করে গেলেন। এই উইকেটে রান করা বেশ কঠিন ছিল। এহসান, মুরতাজ, শুক্লা যথেষ্ট ভাল বল করলেন। কিন্তু বিরাট কোহলি উইকেটে রইলেন, লড়াই করলেন। সবচেয়ে বড় কথা নিজের অর্ধ শতরান পূর্ণ করলেন। দীর্ঘদিন পর টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে হাফ সেঞ্চুরি করলেন কিং কোহলি। অন্যদিকে প্রশংসা করতে হবে সূর্যের। এই ইনিংস পরবর্তী ম্যাচগুলোয় বিরাটকে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস দেবে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এর চেয়ে ভাল খবর হতে পারে না। দেখে বোঝা যাচ্ছিল কতটা চাপে ছিলেন।
গণেশ চতুর্থীর দিন ফর্মে ফিরে বিরাট বুঝিয়ে দিলেন তার ভক্তদের জন্য সুখবর আসছে।হংকং দলটা অধিকাংশ পাকিস্তানি এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকেদের নিয়ে তৈরি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার আজ বিরাট কোহলি বল করলেন। ১৭ ওভারে তাকে আক্রমণে আনলেন রোহিত শর্মা।