এক যুগ। সেই তেজ। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ অভিষেক হয়েছিল বিরাট কোহলির। বিশ্বকাপ অভিষেকেই সেঞ্চুরি মেরেছিলেন। এক যুগ পর ফের ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে নেমেছিল ভারত। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। শেষ দিকে জমে উঠল ম্যাচ। বিরাটের সেঞ্চুরি হবে কিনা, এটাই ছিল প্রশ্ন। শেষ দিকে লক্ষ্য দাঁড়ায় বিরাটের চাই ৩ রান, দলের চাই ২ রান! তখনও ৯ ওভারের খেলা বাকি। চেজ মাস্টার বিরাটকে দুর্দান্ত ভাবে সাপোর্ট করলেন লোকেশ রাহুল। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির প্রত্যাশা ছিল বিরাটের ব্যাটে। যদিও শর্ট পিচ ডেলিভারিতে ৮৫ রানে আউট হন। স্বাভাবিক ভাবে ম্যাচ ফিনিশ করে না আসতে না পারার হতাশায় ছিলেন। সঙ্গে আক্ষেপ ছিল সেঞ্চুরি মিসেরও। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশের বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ওয়াইড বল করতেই বিরক্তিতে তাকান বিরাট কোহলি। এমনটাই স্বাভাবিক। আম্পায়ারও বুঝেছেন, ইচ্ছাকৃত। ওয়াইডে দেননি। পরের বলটি ডট। তৃতীয় বলে বিশাল ছয়ে ম্যাচ ফিনিশ বিরাটের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৮তম সেঞ্চুরি কিং কোহলির ব্যাটে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারতকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। রোহিত অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেন। ৪৮ রানে ফেরেন। শুভমন গিল সিনিয়র বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম হাফসেঞ্চুরি করলেন। তবে ম্যাচটা জমল বিরাটের ব্যাটে। শ্রেয়স, রাহুলদের সঙ্গে ছোট দুটি পার্টনারশিপ। ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে যেমন দাপট ছিল, তেমনই তাগিদও। বিরাটের থেকে একটা কমপ্যাক্ট ইনিংস দেখা গেল। ৫১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় ভারতের।