বিরাট-রাহুলের কাঁধে ভর করে অজি বধ ভারতের

ভারতের ইনিংসের প্রথম দু’ওভারের ম্যাচ দেখে অতি বড় ভারতীয় সমর্থকও ভাবেননি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জিতবেন তাঁরা। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে এর থেকে খারাপ শুরু কিছু হতে পারত না। বিরাট কোহলির ৮৫ আর রাহুলের অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৪১.২ ওভারে জয়ের রান তুলে নিল ভারত। রবিবার এশিয়া কাপ আর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ যেন টনিকের কাজ করল বিশ্বকাপ শুরুর আগে। মানসিক দিক থেকে অনেক চাঙ্গা হয়ে রবিবার খেলতে নেমেছিল ভারত। চেন্নাইয়ের চেনা পিচে এই কনফিডেন্সটা আরও কয়েকগুণ বাড়ায় টিম-ইন্ডিয়ার। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলিংয়ের দাপটে মাত্র ৪৯.৩ ওভারে ১৯৯ রানের লক্ষ্য রেখে গুটিয়ে যায় অজিদের ইনিংস। অর্থাৎ, ভারতের সামনে টার্গেট ২০০ রানের। রবিবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। পরের দিকে পিচ স্লো হবে আশা করে এই সিদ্ধান্ত প্যাট কামিন্সের। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোটেই ভালো কিছু করে দেখাতে পারেনি অজি ব্যাটসম্যনেরা। প্রথম উইকেট পড়ে মাত্র ৫ রানের মাথায়। বুমরাহর বলে মিচেল মার্শ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন স্টিভ স্মিথ। দীর্ঘদিন ধরে রান না পাওয়া এই জুটি ৬৯ রানের পার্টনারশিপ করে। এরপর ওয়ার্নারকে ফেরান কুলদীপ। এরপরই ৪১ রানে ফেরেন ওয়ার্নার। এই দুই উইকেট হারানোর পরেই যেন ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়া টিমের মেরুদণ্ডটাই। ২৭ রানে ফেরেন মারনাস লাবুশানে। একই ওভারে ফেরেন অ্যালেক্স ক্যারি। জাদেজা এক ওভারে পরপর দুই বড় ব্যাটসম্যানেকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখাতেই ভারতীয় দল তেতে ওঠে। এরপর কুলদীপ ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। ঠিক তার পরের ওভারেই অশ্বিনের বলে আউট হন ক্যামেরন গ্রিন। প্যাট কামিন্স কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও মাত্র ১৫ রান করে বুমরাহর বলে তিনি আউট হন। এরপর ফেরেন অ্যাডাম জাম্পা। তিনি করেন মাত্র ৬ রান। শেষের দিকে রান করার আশা বাঁচিয়ে রাখেন মিচেল স্টার্ক। ২৮ রান করে তিনি প্যাভিলিয়নের পথ ধরতেই অজিদের বড় রানের ইনিংস বানানোর আশা ধসে পড়ে তাসের ঘরের মতোই।
ভারতের হয়ে জাদেজা নেন তিনটে উইকেট। দুটো উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বুমরাহ নেন দুটি উইকেট। শেষে সিরাজ নেন একটি উইকেট। ফলে ৫০ ওভারের আগেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ভারত। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লোভ সামলাতে পারেননি ঈশান কিশন। স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। ঈশানের পর আউট রোহিতও। শূন্য রানে ফিরলেন ভারত অধিনায়ক। রোহিতের পর শূন্য রানে ফিরলেন শ্রেয়স আয়ারও। ২ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় দলের। রান তাড়া করতে নেমে চাপে ভারত। তবে ভরসা জাগায় রাহল -বিরাটের জুটি। ৭৫ বলে অর্ধশতরান করেন বিরাট। সঙ্গে ভারতের রান পেরোয় ১০০-র গণ্ডি। বিরাটের পরে অর্ধশতরান করেন রাহুলও। ৭২ বলে করেন ৫০ রান। বিরাট আর রাহুলের জুটির ওপর ভর করেই জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু টিম ইন্ডিয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × two =