অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। জেড্ডায় হওয়া আইপিএলের মেগা নিলামে ১৩ বছরে কোটিপতি হয়ে শিরোনামে এসেছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। সেই তিনিই ভারতকে টুর্নামেন্টের শেষ চারে তুলতে সাহায্য করলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে হারের ধাক্কা আগেই কাটিয়েছে ভারতের ছোটরা। পাকিস্তানের কাছে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিলেন আমন-আয়ুষরা। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। জাপানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২১১ রানের বিরাট ব্যবধানে জেতে ভারত। এ বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে জিতলেন বৈভব-আয়ুষরা। ব্যাট হাতে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংসের পাশাপাশি ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন আয়ুষ মাহত্রে।
শারজায় টস জিতে প্রথমে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আমিরশাহি। যুধাজিৎ-চেতনদের দাপুটে বোলিংয়ের সুবাদে ৪৪ ওভারে ১৩৭ রানে অল আউট হয় আমিরশাহি। আয়ানদের দলের হয়ে সর্বাধিক স্কোর মহম্মদ রায়ানের (৩৫)। আমনের ভারতকে আমিরশাহি ১৩৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল। তা ১৬.১ ওভারেই পূরণ করে ফেলেন বৈভবরা। দুই ওপেনারকে ক্রিজ থেকে টলাতে পারেননি আমিরশাহির বোলাররা। আয়ুষ মাহত্রে ৬৭ অপরাজিত থাকেন। ৫১ বলে এই স্কোরের পথে আয়ুষ মারেন ৪টি চার ও ৪টি ছয়। আর বৈভব ৭৬ রানে নট আউট। ৪৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলার পথে বৈভবের ব্যাটে এসেছে ৬টি ছয় ও ৪টি চার।
ভারতের এই দাপুটে পারফরম্যান্সের সুবাদে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল পাকা। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ হারার পর একটু পিছিয়ে গেলেও ভারত গত ম্যাচে (জাপানের বিরুদ্ধে) ২১১ রানে জেতায় নেটরানরেট টিম ইন্ডিয়ার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ৩ ম্যাচে ২টি জয় ও ১টি হারের পর ভারতের পয়েন্ট ৪, নেটরানরেট +২.৫৫৮।