সিরিজ জয়ের কাজটা আগের দিনই সেরে রেখেছেন শিখর ধাওয়ানরা। বুধবার সিরিজের শেষ ম্যােচটা স্রেফ নিয়মরক্ষার হলেও, ভারতীয় দল হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যব নিয়েই নামছে। সেই সঙ্গে একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করবেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচে কমবেশি একইরকম প্রথম একাদশ রেখেছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। পরিবর্তন করেছিলেন শুধু একটি। দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পান আবেশ খান।আবেশ অভিষেক ম্যাচে তেমন নজরকাড়া পারফর্ম না করতে পারলেও শেষ ম্যাচে আরও একবার সুযোগ পাওয়ার কথা তাঁর। বাকিদের মধ্যে এদিন অর্শদীপ সিংয়ের সুযোগ পাওয়া কার্যত নিশ্চিত।
অর্শদীপ সুযোগ পেতে পারেন শার্দূল ঠাকুর বা মহম্মদ সিরাজের জায়গায়। এই সিরিজে সিরাজই ভারতের এক নম্বর পেসার হিসাবে উঠে এসেছেন।
ব্যাটিং বিভাগে ওপেনার হিসাবে শুভমন গিল এবং শিখর ধাওয়ান ভাল পারফর্ম করেছেন। তবে সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকা ঈশান কিষান এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড় শেষ ম্যাচে সুযোগ পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে ভাল খেললেও শুভমন গিলকে বসতে হতে পারে। শ্রেয়স আইয়ারও প্রথম দু’ম্যাচে ভাল শুরু করেছেন। কিন্তু গিল বা শ্রেয়স কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সূর্যকুমার যাদবও তাই। শেষ ম্যাচে এদের মধ্যেও কাউকে বসতে হতে পারে।
তবে তৃতীয় একদিনের ম্যা চের আগে সবচেয়ে বড় খবর হল, টিমের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ প্যা ডি আপ্টন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি ভারতীয় টিমের সঙ্গে থাকবেন। যা শোনা গেল, তাতে মূলত কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের ইচ্ছেতেই আপ্টনকে নিয়ে আসা হল। আসলে সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেটারদের টানা ক্রিকেটের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে পরপর আরও বেশ কিছু সিরিজ রয়েছে। এশিয়া কাপ রয়েছে। একে তো ঠাসা ক্রীড়াসূচি, তার উপর বিশ্বকাপের মতো চাপের ইভেন্ট, ফলে দ্রাবিড় এমন একজনকে চাইছিলেন, যিনি ক্রিকেটারদের মোটিভেট করতে পারেন। ক্রিকেটাররা যাতে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে না পড়েন।