এশিয়া কাপে বিশাল জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এশিয়া কাপের ইতিহাসে সফলতম দল ভারত। টুর্নামেন্টে সাত বারের চ্যাম্পিয়ন। শুরুতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ হওয়ায় উত্তেজনা ছিল আরও তুঙ্গে। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ১৪ বারের সাক্ষাতে ১১ বার জিতেছিল ভারত। পরিসংখ্যান আরও উন্নত হল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একডজন জয়। ডাম্বুলায় পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্য়বধানে হারাল হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এটাও যেন আপশোসের কারণ হতে পারে!
ভারতের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক নিদা দার। শুরুতেই জোড়া ধাক্কা দেন ভারতের পেস বোলিং অলরাউন্ডার পূজা বস্ত্রকার। পাকিস্তানের দুই ওপেনার গুল ফিরোজা ও মুনিবা আলিকে পাওয়ার প্লে-তে ফেরান তিনি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকেন ভারতীয় বোলাররা। পূজার দুর্দান্ত শুরুর পর দীপ্তি শর্মার ধাক্কা। শেষ অবধি মাত্র ১০৮ রানেই অলআউট পাকিস্তান। সিদরা আমিন সর্বাধিক ২৫ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দীপ্তি শর্মা ৩ এবং পূজা বস্ত্রকার, রেনুকা সিং ঠাকুর, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল দুটি করে উইকেট নেন।
জন্মদিনের পর দিনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। নিজেকে যেন দুর্দান্ত একটা উপহার দিতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ স্মৃতি মান্ধানা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান স্বস্তির ছিল না। এ দিন অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস। শেফালি ভার্মার সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৮৫ রান যোগ করেন স্মৃতি। ৩১ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ফেরেন ভারতের ভাইস ক্যাপ্টেন।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, ১০ উইকেটেই ম্যাচ জিতবে ভারত। টার্গেটও বড় ছিল না। ৮৫ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙতেই ছন্দপতন হয়। আর এক ওপেনার শেফালি ভার্মা ২৯ বলে ৪০ রানে ফেরেন। হেমলতার ইনিংসও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন জেমাইমা রডরিগজ। শেষ অবধি ১৪.১ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের সীমানা পার করে ভারত। ৩৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয়।